আস্থা ভোটের মুখোমুখি টেরিজা মে

প্রকাশ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:৩৮

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

দলীয় নেতৃত্বের প্রশ্নে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। দেশটির রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্যরা বুধবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে হাউস অব কমন্সে ভোটাভুটিতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। গোপন ব্যালটের ভোটাভুটির ফল এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই প্রকাশ করা হয়। খবর বিবিসির।

ডাউনিং স্ট্রিট থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে টেরিজা মে বলেছেন, ‘ফলাফল যাই হোক না কেন আমি ভোটে অংশ নেব।’

দলীয় নেতৃত্ব প্রশ্নে নতুন করে প্রতিযোগিতা আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির ‘১৯২২ কমিটি’তে ন্যুনতম ৪৮টি চিঠি জমা হওয়ার পর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন মে।

২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বেক্সিট ইস্যুতে ভোটাভুটি হওয়ার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন টেরিজা মে। তবে ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে তোপের মুখে রয়েছেন তিনি। এমনকি নিজ দলেও সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাকে। এমন অবস্থায় পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে আস্থা ভোটে অংশ নেবেন কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা। কিন্তু দলীয়প্রধানের পদে থাকার জন্য ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে টেরিজাকে।

আস্থা ভোটে টেরিজার পক্ষে যদি ভোটের সংখ্যা বেশি থাকে তবে তিনি উতরে যাবেন। অন্তত আরও এক বছরের জন্য তার নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। আর যদি আস্থা ভোটে টেরিজা মে হেরে যান, তবে কনজারভেটিভ নেতৃত্ব প্রশ্নে আবারও প্রতিযোগিতা হবে এবং থেরেসা মে সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। আবার এমন যদি হয় যে টেরিজা মে আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু সবার সমর্থন পাননি, তবে তিনি চাইলে দলীয়প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। কনজারভেটিভ পার্টি পার্লামেন্টের সবচেয়ে বড় দল হওয়ায় যে ব্যক্তি এর নেতৃত্বে থাকবেন তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন।

টেরিজা মে যদি কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব হারিয়ে ফেলেন, তাহলে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানই ক্ষমতাবলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। আর এই প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ হতে প্রায় ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। দলে যদি একাধিক প্রার্থী থাকেন তাহলে প্রথমে কয়েক দফার ভোটাভুটিতে দুজনকে নির্বাচিত করা হবে। এরপর এই দুজনের মধ্যে থেকে একজনকে দলীয়প্রধান করা হবে। আর তিনিই হবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকাটাইমস/১২ডিসেম্বর/এসআই