৮৮ আসনে আ.লীগ বিএনপি সমানে সমান

বোরহান উদ্দিন ও তানিম আহমেদ
 | প্রকাশিত : ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:৩৯
বামে কোটালীপাড়ার জনসভায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, ডানে ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটের প্রচারণায় ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সারা দেশে বেশ কিছু সংসদীয় আসন রয়েছে, যেগুলোতে কোনো একটি দলের আধিপত্য নেই। একবার এক দল তো আরেকবার জয় পায় অন্য দল। সংখ্যাটি এক শয়ের মতো। এর মধ্যে বেশ কিছু আসন আছে, যেগুলোতে যারা জিতেছে তারাই গঠন করেছে সরকার।

১৯৯১ সাল থেকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনগুলোতে দুই প্রধান দলের প্রার্থীরা এসব আসনে টানা জয় পায়নি কখনো। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি চারটি নির্বাচনে দুটি করে জয় পেয়েছে।

সিংহভাগ আসনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগ ও জামায়াত, কোথাও আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি, হাতে গোনা দু-একটি আসনে আবার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি ও জামায়াত।

সারা দেশের নির্বাচনী আসনগুলো ঘেঁটে দেখা গেছে, অন্তত ৬৭টি আসনে আওয়ামী লীগের অবস্থান খুবই শক্তিশালী। ৬০টির মতো আসনে বিএনপিকে হারানো কঠিন। এসব আসনে দল দুটি একবার হারলেও বাকি তিন নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয় পেয়ে আসছে।

এই আসনগুলো বাদ দিয়ে বাকি যেসব আসন রয়েছে, সেগুলোতেই চোখ থাকবে ভোটারদের।

রংপুর বিভাগ

ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টির অবস্থানও ভালো। ১৯৯১ ও ৯৬-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতলেও ২০০১ ও ২০০৮ সালে জেতেন লাঙ্গলের প্রার্থী। যদিও নবম সংসদ নির্বাচনে তিনি সমর্থন পান আওয়ামী লীগেরও।

২০১৪ সালে জাতীয় পার্টিকে হারিয়ে সংসদ সদস্য হন মহাজোটের ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াসিন আলী। এবারও মহাজোটের প্রার্থী ইয়াসিন আলী। আছেন জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহমেদও। এখানে বিএনপির হয়ে লড়বেন জাহিদুর রহমান।

দিনাজপুর-৩ আসনে ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি জেতে। এবার ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ইকবালুর রহিম। বিএনপি দাঁড় করিয়েছে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে।

দিনাজপুর-৬ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে জামায়াত এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এবার নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক। তার বিপরীতে জামায়াতের আনোয়ারুল ইসলাম।

রাজশাহী বিভাগ

নাটোর-২ আসনে ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ এবং ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জয় পায় বিএনপি। এবার নৌকা নিয়ে শফিকুল ইসলাম শিমুল ও ধানের শীষে লড়ছেন সাবিনা ইয়াসমীন ছবি।

নাটোর-৩ আসনটিতে ১৯৯১ সালে জামায়াত, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি এবং ২০০৮ সালে জেতে আওয়ামী লীগ। এবার এখানে নৌকার জুনায়েদ আহমেদ পলকের সঙ্গে লড়াই হবে ধানের শীষের দাউদার মাহমুদের মধ্যে।

নওগাঁ-১ আসনে ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ আর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জেতে বিএনপি। চতুর্থবারের মতো পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়ছেন নৌকার সাধন চন্দ্র মজুমদার ও ধানের শীষের ছালেক চৌধুরী।

একই পরিস্থিতি নওগাঁ-২ আসনেও। এবার ভোটে লড়ছেন আওয়ামী লীগের শহিদুজ্জামান সরকার ও বিএনপির শামসুজ্জোহা।

নওগাঁ-৪ আসনে ১৯৯১ সালে জামায়াত জিতলেও পরে দুবার জয় পায় বিএনপি এবং ২০০৮ সালে জেতে আওয়ামী লীগ।

এবার লড়াই হবে নৌকার ইমাজউদ্দিন প্রমাণিক ও ধানের শীষের শামসুল আলম প্রামাণিকের মধ্যে।

নওগাঁ-৫ আসনে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপি আর ২০০১ ও ২০০৮ সালে জেতে আওয়ামী লীগ। নিজাম উদ্দিন জলিল জন ও জাহিদুল ইসলাম ধলুর মধ্যে হবে লড়াই।

একই চিত্র সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জেতে আওয়ামী লীগ। এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী তানভীর ইমাম ও জামায়াতের রফিকুল ইসলাম খান।

সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি ১৯৯১ ও ২০০১ এবং আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জেতে।

এবার লড়ছেন আওয়ামী লীগের আব্দুল মমিন ম-ল ও বিএনপির আমিরুল ইসলাম খান।

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের চিত্রও একই রকম। এবার লড়ছেন আওয়ামী লীগের হাসিবুর রহমান স্বপন ও বিএনপির এম এ মুহিত।

পাবনা-১ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে জামায়াত, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জেতে আওয়ামী লীগ। এবার এখানে ধানের শীষে লড়ছেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাইয়িদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন জামায়াতের নাজিবুর রহমান মোমেন, আর আওয়ামী লীগের হয়ে লড়ছেন শামসুল হক টুকু।

পাবনা-২ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জিতেছে আওয়াম লীগ। এবার লড়াই হবে নৌকার আহমেদ ফিরোজ কবির এবং বিএনপির এ কে এম সেলিম রেজা হাবিবের মধ্যে।

পাবনা-৩ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জয় পায় নৌকা।

এবার লড়বেন আওয়ামী লীগের মকবুল হোসেন এবং বিএনপির আনোয়ারুল ইসলাম।

পাবনা-৫ আসনের চিত্রও হুবহু একই। এবার নৌকার গোলাম ফারুক খন্দকারের সঙ্গে ধানের শীষ নিয়ে লড়বেন জামায়াতের ইকবাল হোসেন।

খুলনা বিভাগ

খুলনা-৩ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ জেতে। এবার লড়বেন বর্তমান সংসদ সদস্য মুন্নুজান সুফিয়ান ও বিএনপির রকিবুল ইসলাম বকুল।

খুলনা-৬ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে জামায়াত এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ জেতে।

এবারও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে। নৌকা নিয়ে লড়ছেন আকতারুজ্জামান বাবু। ধানের শীষে জামায়াতের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ।

সাতক্ষীরা-৩ আসনের চিত্রও একই। এবার আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সেখানে বিএনপি। নৌকা নিয়ে আ ফ ম রুহুল হকের বিপরীতে লড়ছেন ধানের শীষের শহিদুল আলম।

সাতক্ষীরা-৪ আসনে ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জাতীয় পার্টি এবং মাঝে ২০০১ সালে জামায়াত জিতেছে।

এবার এখানে আওয়ামী লীগের এস এম জগলুল হায়দারের বিপরীতে আছেন জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম। সঙ্গে আছেন জাতীয় পার্টি ও বিকল্পধারার প্রার্থী।

বাগেরহাট-২ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি আর ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জেতে আওয়ামী লীগ।

এবার এখানে নৌকা নিয়ে লড়ছেন বঙ্গবন্ধুর নাতি শেখ সারহাম নাসের তন্ময় ও বিএনপির এম এ সালাম।

ঝিনাইদহ-১ আসনে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপি, ২০০১ ও ২০০৮ সালে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ।

এবার সেখানে নৌকা নিয়ে লড়ছেন আব্দুল হাই। ধানের শীষ পেয়েছেন আসাদুজ্জামান।

বরিশাল বিভাগ

বরিশাল-২ আসনে ১৯৯১ সালে ওয়ার্কার্স পার্টি, ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি, ২০০১ সালে বিএনপি এবং ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ জিতেছে।

এবার লড়াই হবে আওয়ামী লীগের শাহে আলম ও বিএনপির সরদার সারফুদ্দিন আহমেদ সান্টুর মধ্যে।

পটুয়াখালী-১ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জয় পায় আওয়ামী লীগ।

এবার লড়ছেন আওয়ামী লীগের শাহজাহান মিয়া ও বিএনপির আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

বরগুনা-২ আসনে ১৯৯১ সালে স্বতন্ত্র, ১৯৯৬ সালে ইসলামী ঐক্যজোট, ২০০১ সালে বিএনপি ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ জেতে।

এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন ও বিএনপির খন্দকার মাহবুব হোসেন।

ভোলা-৪ আসনে ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ আর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জেতে বিএনপি। নৌকার আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ও ধানের শীষের নাজিম উদ্দিন আলম পরস্পরের মুখোমুখি।

পিরোজপুর-১ আসনে ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ এবং ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জেতে জামায়াত।

এবার লড়বেন আওয়ামী লীগের শ ম রেজাউল করিম ও জামায়াতের শামীম সাঈদী।

ঢাকা বিভাগ

রাজধানীর ১৫টি আসনকে কোনো একক দলের ঘাঁটি বলার সুযোগ নেই। এই ১৫টি আসন হয়েছে ২০০৮ সালে। এর আগে আসন ছিল আটটি।

১৯৯১ সালে সব কটিতে জিতেছে বিএনপি। ১৯৯৬ সালে ঢাকা-৬ ছাড়া বাকি সাতটি দখলে নেয় আওয়ামী লীগ। ২০০১ সালে আবার সবগুলো পুনরুদ্ধার করে জয়ী হয় বিএনপি। ২০০৮ সালে ১৫টি আসনের সবগুলো জেতে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা-৪ আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা, বিএনপির প্রার্থী নবী উল্লাহ নবী। ঢাকা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী হাবিবুর রহমান মোল্লা, তার প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের সালাহউদ্দিন আহমেদ।

ঢাকা-৬ আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, ধানের শীষ নিয়ে লড়বেন গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী। ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজী মো. সেলিম, এখানে ধানের শীষ নিয়ে লড়বেন গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু।

ঢাকা-৮ আসনে নৌকার প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, ধানের শীষ নিয়ে লড়ছেন বিএনপির মির্জা আব্বাস। ঢাকা-৯ আসনে আওয়ামী লীগের সাবের হোসেন চৌধুরীর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আফরোজা আব্বাস।

ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবদুল মান্নান। ঢাকা-১১ আসনে আওয়ামী লীগের কে এম রহমতউল্লাহর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শামীম আরা বেগম।

ঢাকা-১২ আসনে আওয়ামী লীগের আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে লড়ছেন বিএনপির সাইফুল আলম নীরব। ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের সাদেক খানের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবদুস সালাম।

ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের আসলামুল হকের লড়াই বিএনপির সৈয়দ আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে। ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগের কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ নিয়ে জামায়াতের শফিকুর রহমান।

ঢাকা-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার সঙ্গে লড়ছেন বিএনপির আহসানউল্লাহ হাসান। ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগের আকবর হোসেন পাঠানের প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ নিয়ে বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ। ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের সাহারা খাতুনের লড়াই ধানের শীষ নিয়ে জেএসডির শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সঙ্গে।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জিতেছে বিএনপি। এবার এখানে আওয়ামী লীগের গোলাম দস্তগীর গাজী ও বিএনপির কাজী মনিরুজ্জামান প্রার্থী হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের চিত্রও হুবহু একই রকম। এই আসনে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম বাবু ও বিএনপির নজরুল ইসলাম আজাদ লড়ছেন পরস্পরের বিরুদ্ধে।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনেও দুবার করে জিতেছে দুই দল। এবার সেখানে আওয়ামী লীগের শামীম ওসমানের সঙ্গে লড়ছেন ধানের শীষ নিয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনির হোসেন কাসেমী।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ এবং ২০০৮ সালে জেতে জাতীয় পার্টি। এবার মহাজোটের প্রার্থী সেলিম ওসমান। বিএনপি জোটের শরিক নাগরিক ঐক্যের প্রার্থী এস এম আকরাম।

টাঙ্গাইল-২ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ জেতে। এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী তানভীর হাসান ছোট মনি ও বিএনপির সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

টাঙ্গাইল-৪ আসনে ১৯৯১ সালে জাসদ, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ এবং ২০০১ সালে বিএনপি জেতে।

এবার আওয়ামী লীগের হাসান ইমাম খান ও ধানের শীষ নিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের লিয়াকত আলী নির্বাচন করছেন।

টাঙ্গাইল-৫ আসনে ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে জাতীয় পার্টি, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ এবং ২০০১ সালে বিএনপি জেতে। এবার এই আসনে আওয়ামী লীগের ছানোয়ার হোসেন, জাতীয় পার্টির শফিউল্লাহ আল মুনীর (জাপা) ও বিএনপির মামুদুল হাসান লড়বেন।

টাঙ্গাইল-৮ আসনে ১৯৯১ সালে বিএনপি, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ এবং ২০০১ সালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ জেতে। এবার লড়বেন ঐক্যফ্রন্টের কুড়ি সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগের জোয়াহেরুল ইসলাম।

নরসিংদী-৪ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ জেতে। এবার নৌকার নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ও ধানের শীষের সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল লড়বেন।

কিশোরগঞ্জ-২ আসনে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপি এবং ২০০১ ও ২০০৮ সালে জেতে আওয়ামী লীগ। এবার এখানে নৌকার প্রার্থী নূর মোহাম্মদ। বিএনপির প্রার্থী দুবারের সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান রঞ্জন।

ফরিদপুর-২ আসনে ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি জেতে। এবার আওয়ামী লীগের সাজেদা চৌধুরী ও বিএনপির শামা ওবায়েদ প্রার্থী।

ময়মনসিংহ বিভাগ

ময়মনসিংহ-৪ আসনে এখানে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জেতে আওয়ামী লীগ।

এই আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির বেগম রওশন এরশাদ। আর বিএনপি সেখানে দাঁড় করিয়েছে আবদুল ওয়াহাব আকন্দকে।

ময়মনসিংহ-৮ আসনে ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টি, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ এবং ২০০১ সালে জয় পায় বিএনপি।

এবার এই আসনে লড়বেন মহাজোটের প্রার্থী ফখরুল ইমাম (জাপা) ও ঐক্যফ্রন্টের এইচ এম খালিকুজ্জামান (গণফোরাম)।

ময়মনসিংহ-৯ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি আর ১৯৯৬ ও ২০০৮-এ জেতে আওয়ামী লীগ। এবার আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুল আবেদিন খান ও বিএনপির প্রার্থী খুররম খান।

শেরপুর-৩ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জেতে আওয়ামী লীগ। এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম ফজলুল হক ও বিএনপির মাহমুদুল হক।

নেত্রকোণা-৩ আসনে ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ এবং ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জেতে বিএনপি। এবার অসীম কুমার উকিলকে বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আর আসনটি উদ্ধারে রফিকুল ইসলাম হেলালীকে প্রার্থী করেছে বিএনপি।

নেত্রকোণা-৪ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জেতে আওয়ামী লীগ। এবার সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের রেবেকা মমিন ও বিএনপির তাহমীনা জামান।

জামালপুর-৪ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এবার নৌকা নিয়ে মুরাদ হাসান ও ধানের শীষ নিয়ে লড়ছেন ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম।

সিলেট বিভাগ

সিলেট-১ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এবার আওয়ামী লীগের এ কে আব্দুল মোমেনের বিপরীতে ধানের শীষ নিয়ে লড়ছেন খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির।

সিলেট-২ আসনে ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টি, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ আর ২০০১ সালে জেতে বিএনপি। এবার মহাজোটের জাতীয় পার্টির ইয়াহহিয়া চৌধুরী ও বিএনপির তাহসিনা রুশদীর লুনা লড়ছেন।

সিলেট-৩ আসনে জাতীয় পার্টি দুবার এবং আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা একবার করে জিতেছেন। এবার আওয়ামী লীগের মাহমুুস সামাদ চৌধুরী কয়েস ও বিএনপির দিলদার হোসেন সেলিম লড়াই করবেন।

সিলেট-৫ আসনে ১৯৯১ সালে ইসলামী ঐক্যজোট, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ এবং ২০০১ সালে জামায়াত জয় পায়।

এবার এখানে নৌকা নিয়ে হাফিজ আহম্মেদ মজুমদার ও বিএনপি জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ওবায়দুল্লাহ ফারুক।

সিলেট-৬ আসনে ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টি, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ এবং ২০০১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পান।

এবার প্রার্থী আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ ও বিএনপির ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী।

হবিগঞ্জ-৩ আসনে ১৯৯১ ও ৯৬ সালে জাতীয় পার্টি এবং ২০০১ ও ২০০৮ সালে জেতে আওয়ামী লীগ। তবে এবার লড়াই হবে নৌকার প্রার্থী আবু জাহির ও বিএনপির জি কে গউসের মধ্যে।

সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ আর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি জিতেছে। এবার মহাজোটের হয়ে লড়ছেন জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান মেজবাহ। বিএনপির প্রার্থী ফজলুল হক আসপিয়া।

সুনামগঞ্জ-৫ আসনে ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টি, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ, এবং ২০০১ সালে বিএনপি জয় পায়। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিবুর রহমান মানিক ও বিএনপির মিজানুর রহমান চৌধুরী।

মৌলভীবাজার-২ আসনে ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে জাতীয় পার্টি, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ এবং ২০০১ সালে জেতেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

এবার মহাজোট থেকে এম এম শাহীন (বিকল্পধারা) ও ঐক্যফ্রন্ট থেকে লড়ছেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ।

মৌলভীবাজার-৩ আসনে আওয়ামী লীগ ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে আর বিএনপি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জয় পায়। এবার লড়াই হবে আওয়ামী লীগের নেছার আহমেদ ও বিএনপির নাসের রহমানের মধ্যে।

চট্টগ্রাম বিভাগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি আর ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এবার নৌকার প্রার্থী আনিসুল হক, বিএনপির মুসলিম উদ্দিন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টি, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ এবং ২০০১ সালে ধানের শীষ নিয়ে বিজেপি জিতেছে। এবার নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের এবাদুল করিম বুলবুল ও বিএনপির কাজী নাজমুল হোসেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে জয় পায় বিএনপি এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জেতে আওয়ামী লীগ। এখানে আওয়ামী লীগের এ বি তাজুল ইসলাম ও বিএনপির আব্দুল খালেকের মধ্যে লড়াই হবে।

কুমিল্লা-৭ (আগে কুমিল্লা-৬) আসনে ১৯৯১ সালে স্বতন্ত্র থেকে জিতে বিএনপিতে যোগ দেন রেদোয়ান আহমেদ। ১৯৯৬ সালে জেতে আওয়ামী লীগ। ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জেতেন রেদোয়ান। ২০০৮ সালে আবার জেতে নৌকা।

আওয়ামী লীগের হয়ে এখানে লড়ছেন আলী আশরাফ আর রেদোয়ান আহমেদ ধানের শীষ নিয়ে লড়বেন এলডিপির হয়ে।

কুমিল্লা-৯ আসনটিতে (পূর্বের-১০) ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ জয় পায়। এবার এই আসনে বিএনপির আনোয়ারুল আজিম আর আওয়ামী লীগের তাজুল ইসলাম।

কুমিল্লা-১০ (সাবেক ৯ ও ১১ এর একাংশ নিয়ে গঠিত) আসনে ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টি, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ, ২০০১ সালে বিএনপি জয় পায়। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ হ ম মোস্তফা কামাল ও বিএনপির মনিরুল হক চৌধুরী।

কুমিল্লা-১১ (পূর্বের ১২) আসনে ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টি, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ এবং ২০০১ সালে জামায়াত জেতে।

এবার এখানে মহাজোটের প্রার্থী আওয়ামী লীগের মুজিবুল হক ও ২০ দলের প্রার্থী জামায়াতের সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

চাঁদপুর-১ আসনে ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ এবং ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জয় পায় বিএনপি।

মহীউদ্দীন খান আলমগীর নৌকা এবং মোশাররফ হোসেন ধানের শীষ নিয়ে লড়ছেন।

চাঁদপুর-২ আসনের চিত্রও একই রকম। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূরুল আমিন রুহুল এবং বিএনপির জালাল উদ্দিন।

চাঁদপুর-৫ আসনেও ঘটেছে হুবহু ঘটনা। এবার এই আসন থেকে লড়বেন আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম ও বিএনপির মমিনুল হক।

নোয়াখালী-৫ আসনে ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টি, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ এবং ২০০১ সালে জয় পায় বিএনপি।

আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির মওদুদ আহমদের লড়াইয়ে দৃষ্টি থাকবে দেশবাসীর।

নোয়াখালী-৬ আসনে ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ, ৯৬ সালে বিএনপি, ২০০১ সালে স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা এবং ২০০৮ সালে জেতেন স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপি নেতা।

বিএনপি থেকে ফজলুল আজিম ও আওয়ামী লীগের আয়েশা ফেরদাউস নির্বাচন করছেন এখানে।

ফেনী-২ আসনে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ এবং পরের দুই নির্বাচনে জেতে বিএনপি।

এবার এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী ও বিএনপির জয়নাল আবদিন।

চট্টগ্রাম-৩ আসনে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ এবং ২০০১ ও ২০০৮ সালে বিএনপি জেতে।

এবার এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহফুজুল হক মিতা এবং বিএনপির মোস্তফা কামাল পাশা।

চট্টগ্রাম-৪ (পূর্বের-২) আসনটিতে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে নির্বাচিত হয় বিএনপি আর ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জয় পায় আওয়ামী লীগ।

এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী দিদারুল আলম ও বিএনপির ইসহাক চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-১০ (পূর্বের ৯) আসনটি ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে দখলে নেয় আওয়ামী লীগ।

এবার আওয়ামী লীগ থেকে আফসারুল আমিন ও বিএনপির আব্দুল্লাহ আল নোমান লড়বেন।

চট্টগ্রাম-১৩ (পূর্বের ১২) আসনে ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ জিতলেও ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জয় পায় বিএনপি।

এবার নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও সরোয়ার জামান নিজাম।

কক্সবাজার-৪ আসনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জয় পায় আওয়ামী লীগ।

এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহীনা আক্তার চৌধুরী ও বিএনপির শাহজাহান চৌধুরী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

সাকিবের বিএনএমে যোগ দেওয়ার ছবি প্রসঙ্গে যা বললেন মেজর হাফিজ

পৃথিবীতে কোনো দেশের গণতন্ত্র পারফেক্ট না: ওবায়দুল কাদের

সাকিবের বিএনএমে যোগ দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানি না: ওবায়দুল কাদের

বিএনপির কেন্দ্রীয় তিন নেতার পদোন্নতি

দুর্নীতি ও ভোটাধিকার হরণ ছাড়া আ.লীগের আর কোনো অর্জন নেই : এবি পার্টি

‘দেশে ইসলামবিদ্বেষী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে’

ক্ষমতাসীনদের কেউ ভালো নেই: গয়েশ্বর

সিন্ডিকেটকে কোলে বসিয়ে বিরোধীদলের ওপর দায় চাপাচ্ছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ

ইফতার পার্টিতে আল্লাহ-রাসুলের নাম না নিয়ে আ.লীগের গিবত গায়: প্রধানমন্ত্রী

বাংলার মাটি থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই: ওবায়দুল কাদের

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :