আস্থা ভোট: আরো এক বছর টিকে গেলেন টেরিজা মে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:২৬ | প্রকাশিত : ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:২৪

ব্রিটেনের কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বের প্রশ্নে আস্থা ভোটে আরো অন্তত এক বছরের জন্যে টিকে গেলেন টেরিজা মে। বুধবার রাতে ভোটাভুটিতে তার পক্ষে পড়েছে ২০০ ভোট আর বিপক্ষে ১১৭। আস্থা ভোটে টেরিজা মে জিতেছেন ৮৩ ভোটে, যার অর্থ ৬৩ শতাংশ কনজারভেটিভ এমপি ছিল তার পক্ষে আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৩৭ শতাংশ।তিনি হেরে গেলে দলের প্রধানের পদ থেকে তাকে সরে দাঁড়াতে হত, সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেও।

জয়ের পর টেরিজা মে বলেন, ‘এটি খুব দীর্ঘ এবং উত্তেজনাপূর্ণ দিন ছিল। তবে দিন শেষে আমি আমার সহকর্মীদের ধন্যবাদ দেব ব্যালটের মাধ্যমে আমাকে সমর্থন জানানোর জন্যে, আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

বক্তব্যের এক পর্যায়ে নিজ দলের এই সমর্থন তাকে ব্রেক্সিট নীতি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে বলে জানান টেরিজা মে। এর আগে ডাউনিং স্ট্রিটে এক বক্তব্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ‘জনগণের দেয়া ভোটে নির্ধারিত ব্রেক্সিট’ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সংসদে আস্থা ভোটের ডাক দেবার জন্যে দরকার ছিল ৪৮ জন কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্যের আবেদন। এই একই সংখ্যক সদস্য ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে যাবার পক্ষে গণভোটের রায়ের ওপর তৈরি মের ব্রেক্সিট নীতিতে রাগান্বিত হয়ে অনাস্থা আবেদন দেন।

তবে ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে নিজের দলের মধ্যে আনা অনাস্থার এমন ফলাফলকে খুব বেশি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন না ব্রিটিশ সাংবাদিক মিহির বোস। তার মতে এতে প্রমাণিত যে অন্তত ১১৭ জন সদস্য দলের মধ্যে তাকে চান না। দলের মধ্যে তার অবস্থানকে এখনো দুর্বল।

তিনি বলেন, ‘টেরিজা মে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারালে ‘এর পর যিনি আসবেন তিনি এরচেয়েও খারাপ হতে পারে এমন একটা ভয় ছিল তার দলের মধ্যে। আর এ কারণেই বিরোধিতা থাকলেও টিকে গেলেন টেরিজা মে।’

অনাস্থা প্রস্তাব আনা এমপিদের নেতৃত্বে থাকা সংসদ সদস্য জ্যাকব রেস-মগ এই ফলাফলকে প্রধানমন্ত্রীর জন্যে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি মেকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। বিপক্ষে থাকা আরেক এমপি এন্ড্রু ব্রিজেনের মতে, এটি নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী মাধ্যমে নতুন করে ব্রেক্সিট আলোচনার বড় সুযোগ হাতছাড়া হল।

তবে সাবেক মন্ত্রী ডেমিয়েন গ্রিন একে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নিষ্পত্তিমূলক বিজয় বলে উল্লেখ করেছেন। ব্যাক বেঞ্চ এমপি স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডি যখন আস্থা ভোটের ফল ঘোষণা করেন, তখন টোরি এমপিরা উল্লাস করে একে গ্রহণ করে নেয়।

তবে এখনো ইউরোপিয় ইউনিয়নের সাথে ব্রেক্সিট চুক্তি বাস্তবায়নে টেরিজা মেকে সংসদে তার বিরোধীদলসহ নিজ দলের কয়েক ডজন সদস্যের সাথে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হবে।

এসএনপির স্টিফেন গেথিন সরকারকে জনগণের জীবন নিয়ে খেলার জন্যে অভিযোগ তুলে টেরিজা মের বিপক্ষে অনাস্থা প্রস্তাবের আহ্বান জানান। ডিইউপির সহ-প্রধান নাইজেল ডডস্ মনে করেন, অংকের হিসেবে এই ফলাফল খুব বেশি পরিবর্তন আনবেনা। তবে তিনি এই মুহূর্তে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পক্ষে নন।

অনাস্থা ভোটের আগে এক বক্তব্যে টেরিজা মে ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে তার ব্রেক্সিট চুক্তির জন্যে লড়াই চালিয়ে যাবার কথা বলেন। তার বক্তব্যের একেবারে শেষে এসে বলেন যে, ২০২২ সালের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে তিনি আর দলের হয়ে লড়বেন না।

ঢাকা টাইমস/১৩ডিসেম্বর/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

কলকাতা হাইকোর্টের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ মমতার

ভারী বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত কারাগার, পালালো শতাধিক বন্দি 

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বে ১৩ রাজ্যের ৮৮ আসনে ভোটগ্রহণ শুক্রবার

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে চায় আর্জেন্টিনা, কিন্তু কেন?

স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, দায়িত্বপালন থেকে বিরত থাকবেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী 

ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: সিরিয়া কি নতুন যুদ্ধক্ষেত্র হবে?

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিবে জ্যামাইকা

পাকিস্তানের পর এবার শ্রীলঙ্কা সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট

বিরল সফরে ইরানে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :