গণপরিবহনের বিকল্প হবে ক্যাবল কার

প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:১৯

অটোমোবাইল ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ল্যাটিন অ্যামেরিকার বেশ কয়েকটি শহরে ক্যাবল কার শুধু গণপরিবণ হিসেবেই কাজ করছে না, যানজট কমিয়ে পরিবেশের উপকারও করছে।  এমন ব্যবস্থা কি ঢাকা, দিল্লিতেও দরকার?

লা পাস, বলিভিয়া
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা ক্যাবল কারের অবস্থান লা পাস।  পুরো নেটওয়ার্কটি ৩০ কিলোমিটার বিস্তৃত এবং প্রতিদিন প্রায় ১৫৯ হাজার মানুষ এটি ব্যবহার করেন।  ২০১৪ সালে ক্যাবল কার নেটওয়ার্কটি চালু হয়।  লা পাস শহরকে এল আল্টোর সঙ্গে যুক্ত করেছে এই নেটওয়ার্ক। 

রিও ডি জানিরো, ব্রাজিল
রিও ডি জানিরোর এই ক্যাবল কারের নাম হচ্ছে ‘বন্ডিনিয়ো’, যা শহরের কেন্দ্র থেকে বিশ্বখ্যাত সুগারলোফ চূড়ায় পৌঁছে যায় তিন মিনিটের মধ্যে।  প্রতিটি কারে ৬৫ জন যাত্রী চড়তে পারেন।  সেই ১৯১২ সালে এই ক্যাবল কার চালু হয়।  মূলত পর্যটকরা এটি ব্যবহার করেন। 

ম্যারিডা, ভেনেজুয়েলা
এক ক্যাবল কারটি সাড়ে বারো কিলোমিটার লম্বা।  এটি ম্যারিডা শহর থেকে শুরু হয়ে এসপেজো গিয়ে শেষ হয়েছে।  অস্ট্রিয়ার একটি কোম্পানি ক্যাবল কারের নেটওয়ার্কটি তৈরি করেছে।

ম্যাডেলিন, কলম্বিয়া
ম্যাডেলিনে ২০০৪ সালে ক্যাবল কার চালু হয়।  প্রতিদিন ৩০ হাজারের মতো মানুষ দশ কিলোমিটারের মতোপথ পাড়ি দিতে নেটওয়ার্কটি ব্যবহার করছেন।  এটি দক্ষিণ অ্যামেরিকায় গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত প্রথম ক্যাবল কার।  আরও অনেক শহরে এমন গণপরিবহন তৈরির সম্ভাবনা তৈরি করেছে এই ক্যাবল কার। 

সান্তিয়াগো দ্য চিলি, চিলি
সান্তিয়াগোতে ১৯৮০ সালে ক্যাবল কার চালু করা হয়।  এটির ৪৭টি কেবিন রয়েছে।  কারটি ২০ মিনিটে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা অতিক্রম করতে পারে।  এমনকি সাইকেলসহ এটিতে চড়া যায়। 

কিয়োটো, ইকুয়েডর
পৃথিবীর অন্যতম উঁচুতে নির্মিত ক্যাবল কারগুলোর একটির অবস্থান ইকুয়েডরের কিয়োটোতে।  ক্যাবল কারটিতে চড়ে শহর থেকে ক্রুজ লোমায় পৌঁছানো যায় ১৮ মিনিটে। 

(ঢাকাটাইমস/১৩ডিসেম্বর/এজেড)