পরিচালক সাজিদ খান নিষিদ্ধ

প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:১৭

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

যৌন হেনস্তার অভিযোগে ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন বলিউডের নামি পরিচালক সাজিদ খান। আগামী এক বছর কোনো ধরণের শুটিংয়ের কাজে তিনি অংশ নিতে পারবেন না বলে সংগঠনটির তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

সাজিদ খানের বিরুদ্ধে অশালীন ব্যবহার ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছিলেন রেচেল হোয়াইট, কারিশমা উপাধ্যায়, সিমরন সুরি ও সলোনি চোপড়া নামে চার অভিনেত্রী। তাদের সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন একটি কমিটি গঠন করেছিল।

সেই কমিটির সদস্য ছিলেন আইনজীবী মৃণালিনী দেশমুখ ও বিভব কৃষ্ণা, পরিচালক শ্রাবণী দেওধর, ভাবনা তলওয়ার, ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক পণ্ডিত, ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের প্রধান অশোক দুবে এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন C-Quel-এর নন্দিনী সরকার।

এই কমিটির তরফ থেকে সম্প্রতি একটি সালিশি বৈঠকে ডাকা হয়েছিল পরিচালক সাজিদ খানকে। সেখানে তিনি যৌন হেনস্তার কোনো অভিযোগ স্বীকার করেননি। তবে জানান, মাঝে মধ্যে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে শুটিং সেটে তিনি খারাপ ভাষা ব্যবহার করতেন। তিনি আরও জানান, বহু নারীর সঙ্গে তার শারিরীক সম্পর্ক রয়েছে, তবে কারও ইচ্ছার বিরুদ্ধে নয়। এরপরই সাজিদের উপরে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় কমিটি। এই মর্মে একটি চিঠি ইতোমধ্যে পরিচালকের হাতেও পৌঁছেছে।

কমিটির অন্যতম সদস্য পরিচালক শ্রীবণী দেওধর বলেন, ‘সাজিদ খানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে সেগুলো বিভিন্ন সময়ের হলেও ধরণ একই রকম। এর থেকেই বোঝা যায়, মেয়েদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করার ধরণ সাজিদের একই রকম। তার এক বছরের নিষেধাজ্ঞার এই শাস্তি সেই সব মানুষদের জন্য কড়া বার্তা, যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করেন।’

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এই #মিটু আন্দোলনের শুরুটা করেছিলেন সাবেক ‘আশিক বানায়া আপনে’ অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। বলিউডের প্রভাবশালী অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। এরপর একে একে উঠতে থাকে ইন্ডাস্ট্রির রাঘব বোয়ালদের নাম। সেই তালিকায় যুক্ত হন অমিতাভ বচ্চন, অলোক নাথ, সুভাষ ঘাই, সাজিদ খান, অভিজিৎ ভট্টাচার্য ও কৈলাশ খেরের মতো তারকারা।

ঢাকা টাইমস/১৩ ডিসেম্বর/এএইচ