‘সাধারণে অসাধারণ আমার আপা’

প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ২৩:০৯ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০৭

ড. কাজী এরতেজা হাসান

তিনি আমাদের রাষ্ট্রনায়ক। তিনি বিশ্বের ২৬তম প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর নারী। একক নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত করেছেন। সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি আর কেউ নন, তিনি আমার শ্রদ্ধেয় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই আমার সাধারণের মধ্যে অসাধারণ প্রিয় আপা।

১০ বছর ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার পরও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় প্রচারণায় সরকারি প্রটোকলের কিছুই ব্যবহার করেননি। গতকাল বুধবার টুঙ্গিপাড়া থেকে শুরু করে ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জের নির্বাচনী সভাগুলোতে তিনি সরকারি প্রটোকল নিয়ে যাননি। এমনকি যে গাড়িটিতে চড়ে তিনি এসব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন, সেই গাড়িটি হলো ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় ব্যবহৃত তার ব্যক্তিগত গাড়িটি।

১৪ বছর আগে ব্যবহার করা গাড়িটি তিনি আবারো ব্যবহার করে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসাবে এলাকার লোকজনদের নিয়ে উঠোন বৈঠক করেছেন। অসাধারণ ব্যক্তিত্ব নিয়ে সাধারণের কাছে বারবার তিনি ছুটে যেতে পারেন। এই উদাহরণ আবারো দেখালেন শেখ হাসিনা।

রাজনীতির আকাশে বড় বিপর্যয়ের সময় ১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরেছিলেন। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর এ দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে পাকিস্তানপন্থীরা বারবার তাকে দেশে আসতে দেয়নি। দীর্ঘ ৬ বছর বিদেশে থেকে তিনি ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো করার জন্য আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে তোলার কাজ নিলেন প্রথমে।

 

রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে এসেছেন আওয়ামী লীগকে। উন্নয়নের পথে দেশকে যখনই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বিদেশীদের চাপের কাছে মাথানত করেননি। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশের গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দেননি। তারপর আবারো সেই পাকিস্তানপন্থীরা ক্ষমতায় গেলে দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান করে। সারাদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটায়। এসময় আওয়ামী সভানেত্রীকে একের পর এক হত্যাচেষ্টা করা হয়। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে বারবার তিনি রক্ষা পেয়েছেন।

দুঃসময়কে বারবার পিছনে ফেলে আমার নেত্রী শেখ হাসিনা বারবার দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। পক্ষান্তরে শেখ হাসিনা বিরোধী শক্তিরা দেশকে বারবার পিছিয়ে নেয়ার কাজ করেছে। এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশ বিরোধী শক্তিরা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। আর আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে। দেশের জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন করার জন্য আবারো আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করি। আপনারা একবার ভেবে দেখুন। এই নির্বাচনে পিঠ বাঁচানোর জন্য যে দল নির্বাচন করছে তাদের ভোট দিবেন নাকি যে দল উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার কাজ করছে তাদের ভোট দিবেন। সে হিসাবে অবশ্যই নির্বাচনে ৩০ ডিসেম্বর নৌকা মার্কাতেই ভোট দিবেন সবাই-এমনটা আশা করি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখক: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প বাণিজ্য ও ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য।