সাতক্ষীরা-১

কলারোয়ায় বিএনপির প্রার্থী হাবিবসহ আহত ৭

প্রকাশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:২৮

সাতক্ষীরা প্রতিবেদক

কলারোয়ায় গণসংযোগের সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন সাতক্ষীরা-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ অন্তত সাতজন নেতা। তাদের মধ্যে  রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক বজলুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন ও দুজন সাংবাদিক।

আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে কলারোয়া উপজেলা সদরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নেতাকর্মীদের নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের  লিফলেট বিতরণসহ গণসংযোগ করছিলেন বিএনপির প্রার্থী হাবিব। এ সময় হেলমেটধারী কয়েকজন যুবক লাঠিসোটা, লোহার রড নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। হেলমেটধারীদের মারপিটে বিএনপির প্রবীণ নেতা অধ্যাপক বজলুর রহমান মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হাবিবসহ অন্যরা আহত হন।

আহত অন্যরা হলেন জেলা বিএনপির নেতা আশরাফ হোসেন, দৈনিক নোয়াপাড়া ও দৈনিক সুপ্রভাতের সাংবাদিক তাজউদ্দিন রিপন ও ফারুক হোসেন রাজ এবং তাকদির রহমান রুবেল। তাদের কলারোয়া ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন, কলারোয়া থানার কাছে পুলিশের উপস্থিতিতে এই হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের লোকজন। এমনকি ঘটনাস্থলের কাছেই উপস্থিত ছিলেন উপজেলা  চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন। হামলার ঘটনার জন্য তিনিই (ফিরোজ) দায়ী বলে জানান হাবিব। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মদ জানান, তিনি এ ধরনের কোনো হামলার ঘটনার খবর শোনেননি।

তবে উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন ‘মারামারির’ কথা শুনেছেন জানিয়ে বলেন, ‘তারা নিজেরা মারামারি করেছে। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনো সম্পর্ক নেই।’

এর আগে প্রচারণায় বেরোবার সময় ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব তার বাড়ির আঙিনায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি বলেন, তার নেতাকর্মীরা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। তাদের প্রচার মাইক ভাঙচুর করা হচ্ছে। কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। পোস্টার-লিফলেট ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা পুলিশকে জানিয়েও কোনো ফল হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

(নির্বাচিত/১৪ডিসেম্বর/মোআ)