‘বেআইনি’ আদেশ মানবে না, পুলিশকে কামাল
সরকারের মেয়াদ আর ১৬ দিন আছে জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন পুলিশকে ‘বেআইনি’ আদেশ না মানার আহ্বান জানিয়েছেন। তার ধারণা, ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে সরকারের পক্ষে রায় আসবে না।
শুক্রবার বিকালে পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে জোটের পক্ষ থেকে করা সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির এক জোটের প্রধান নেতা।
সকালে মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে দিয়ে জামায়াতে ইসলামী প্রশ্নে এক সাংবাদিককে ‘দেখে নেওয়ার’ কথা বলেন কামাল হোসেন। ফেরার পথে তার গাড়িবহরে হামলা হয়। এরপর জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকে ঐক্যফ্রন্ট।
এ সময় কামাল হোসেন জামায়াত প্রসঙ্গ, সাংবাদিককে ধমক দেওয়ার বিষয়ে কিছু বলেননি। বলেন, হামলার প্রসঙ্গ নিয়ে। অভিযোগ, মিরপুরের সংসদ সদস্য আসলামুল হকের গু-াবাহিনী ও কমিশনার টিপুর নেতৃত্বে তার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় তার, আ স ম আব্দুর রব, জগলুল হায়দার আফ্রিকসহ ৭-৮টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। রবের গাড়ি চালকসহ ২৫-৩০ জন গুরুতর আহত হয়।
পুলিশকে ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, ‘এটা একটি সভ্য দেশ। যারা দেশ শাসন করছে, তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত। আজ যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নাও।’
ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপির কর্মীদের গ্রেপ্তার নিয়েও কামাল বলেন, ‘কেউই চিরস্থায়ী নয়, আমি তোমাদের (পুলিশের) একাডেমিতে বক্তৃতায় বলেছি, এখনও বলছি কেউ বেআইনি আদেশ মানবে না। যেসব পুলিশ গ্রেপ্তার করে চলেছ, তারা কেন এসব করছে? পুলিশ তোমরা বেআইনি আদেশ মানবে না। আর কোনো সরকারও আইনের ঊর্ধ্বে না। এই সরকার আর ১৬ দিন ক্ষমতায় আছে। সুতরাং বেআইনি আদেশ মানবে না।’
‘তোমরা ৫০-৫৫ বছর চাকরি করবে, বুঝে নিও, সংবিধান ভঙ্গ করার কাজ করো না। কার আদেশে এমন কাজ করছো তা আমাকে জানাও।’
আইজিপিকে চিঠি দিচ্ছেন কামাল
ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা নীরব ভূমিকায় ছিল বলেও অভিযোগ করেন কামাল। বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে আওয়ামী লীগ পুলিশের সহায়তায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষের প্রার্থী-নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার, প্রচারণায় বাধা, ভাঙচুরের মাধ্যমে সারাদেশে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, যা একটি অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অন্তরায়।’
আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারীকে উদ্দেশ করে ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, ‘আইজিপি সাহেব আপনাকে আমি লিখিতভাবে চিঠি পাঠাব। আপনার পুলিশদের বিষয়ে যা শুনছি তাতে আমি উদ্বিগ্ন। আপনার বিষয়ে আমার ভালো ধারণা ছিল। আমি আপনাকে আজকের ঘটনার তথ্য দেব। ধারণা করছি যে তথ্য দেব আপনি আপনার বিশ্বস্ত লোক দিয়ে সেগুলো তদন্ত করবেন। কথা দিচ্ছি সব ধরনের সাহায্য করব।’
‘চারদিকে শুধু অ্যারেস্ট অ্যারেস্ট আর অ্যারেস্ট। আমরা জানতে চাই কার আদেশে এগুলো করা হচ্ছে। আমরা প্রতিটা অ্যারেস্টের কাগজ চাই।’