নির্ঘুম রাতের পরও তরতাজা থাকুন
কাজের চাপ কিংবা পড়াশোনা। ইচ্ছে না থাকলেও রাত জাগেন অনেকে। একটা রাত নির্ঘুম কাটানোর ফলে পরের দিনে শরীরে ক্লান্তি এসে ভর করে। রাগ জাগার ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই দিনের বেলা ঘুমিয়ে নেন। কিন্তু যাদের সেই সুযোগ নেই তারা কিছু উপায় অবলম্বন করে দিনভর তরতাজা থাকতে পারেন।
অ্যালার্মের সঙ্গে সঙ্গে উঠে যান
সময়মতো সকালের নাস্তা করুন
সকালের খাবার রাতভর ক্লান্তি কমানোর সহায়ক হিসাবে কাজ করে। তবে সেক্ষেত্রে চিনির পরিবর্তে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। যদি চা, কফি ছাড়া আপনার দিন শুরু করা কষ্টদায়ক হয় তাহলে সেক্ষেত্রেও চিনি পরিহার করতে হবে।সকালের সতেজ বাতাস উপভোগ করুন ভোরের সূর্যের আলো আপনার মুড এবং শরীরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক করে তোলে তাৎক্ষণিকভাবে। তাই সকালের সতেজ বাতাস, রোদ উপভোগ করুন।
কাজ শুরুর আগে এক মগ কফি শরীরের সমস্ত ইন্দ্রিয় সতেজ রাখতে ক্যাফেইন সময় নেয় কেবল ৩০ মিনিট। নির্ঘুম একটি রাত কাটানোর পর যদি ব্যস্তময় দিন শুরু করতেই হয়, তাহলে অবশ্যই চিনিমুক্ত এক মগ কফি পান করে নেবেন।
কঠিন কাজ শুরুতে করুন আপনার কাজের তালিকার যে কাজটি সবচেয়ে জরুরি ও কঠিন তা প্রথমেই সেরে ফেলুন। এতে করে ক্লান্তি কাবু করার আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
চর্বিহীন দুপুরের খাবার মনে রাখবেন দুপুরের খাবারটা হতে স্বাস্থ্যসম্মত। চর্বিহীন প্রোটিন ও শাকসবজি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন যদি সারাদিন বিনা ক্লান্তিতে কাটাতে চান।
ইচ্ছে হলে আরেক কাপ কফি পান করুন রাত না জাগলেও কাজের ফলে বিকেলে একটু ক্লান্তি চলে আসে। তখন বিনা অস্বস্তিতে আরেক কাপ কফি আপনি পান করতে পারেন।
অফিস থেকে একটু দ্রুত বের হন অন্যান্য দিন থেকে যদি কাজ থেকে ১৫ মিনিট আগেও বের হন এটি আপনাকে এক্সট্রা অ্যানার্জি দেবে। বিছানায় যাবার আগে অতিরিক্ত কিছু সময় পাবেন।
সুন্দর ঘুমের প্রস্তুতি
সমস্ত কাজ শেষ করে এবার একটি সুন্দর ঘুমের প্রস্তুতি নিন। এ জন্য নিজেকে রাতের বেলা স্ক্রিনের আলো থেকে দূরে রাখুন। সারাদিন বেশি করে পানি পান করবেন যা আপনাকে হাইড্রেট রাখবে। ঘুমানোর আগে অ্যালকোহল এবং কফি পান করা থেকে বিরত থাকবেন। অল্প ফ্যাটযুক্ত রাতের খাবার খান এবং বিছানায় যাবার আগে ঘনঘন গভীর নিঃশ্বাস নিন।
(ঢাকাটাইমস/১৫ডিসেম্বর/এজেড)