সিলেটে আউটার স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ শুরু

প্রকাশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:২৬ | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:০১

হিমু আক্তার, সিলেট থেকে

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এলে যেকেউ মুগ্ধ হবেন। সবুজে ঘেরা এই স্টেডিয়ামের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। কিন্তু স্টেডিয়ামে অন্য সব সুবিধা থাকলেও ইনডোর সুবিধার অভাবে এখনো পরিপূর্ণ নয় ভেন্যুটি। তাই সিলেটের এই স্টেডিয়ামকে পুরোপুরি আন্তর্জাতিক মানে রূপ দিতে এবং সিলেটের ক্রিকেটকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে আউটার স্টেডিয়াম।

২০১৫ সালে সিলেটের লাক্কাতুরাস্থ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম সংলগ্ন প্রায় সাড়ে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮.৭৩ একর জমিতে আউটার স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু এতদিন ধরে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়নি। আউটার স্টেডিয়াম নির্মাণের জায়গাটি গত প্রায় তিন বছর পড়ে ছিল শুধুই ময়লা আবজর্নার স্তূপ দিয়ে। তবে সব অপেক্ষার পর কাজ শুরু করা হয়েছে আউটার স্টেডিয়ামটির।

আউটার স্টেডিয়াম কার্যক্রম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘আমাদের আউটার স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিজ অর্থায়নে একটি একাডেমি মাঠ নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার কাজ আরো গতিশীল হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আমরা জানুয়ারি থেকেই এ নিয়ে কাজ শুরু করব। এখন প্রস্তুতি শুরু। আপাতত ৩০-৩৫ জনের একটা সিলেকশন আছে। তাদের নিয়েই শুরু হবে আমাদের কাজ। আউটার স্টেডিয়ামের কার্যক্রম ঠিক মতো হলে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে সিলেটের ভেন্যুটি।’

শুধু আউটার স্টেডিয়াম নয়, ভেন্যুটিতে দর্শক ধারণক্ষমতা বাড়ানোর জন্যও পরিকল্পনা করেছে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার। এই প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন,  ‘বেশি মানুষ বসে যেন সবুজ গ্যালারিতে খেলা দেখতে পারেন আমরা সেই ব্যবস্থাই করছি। আশা করি আমরা নতুন করে যে পরিকল্পনা নিয়েছি তাতে সবুজ গ্যালারিতে আরো তিন থেকে চার হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা বাড়বে। তাছাড়া সবুজ গ্যালারি এবং মিডিয়ার বক্সের মাঝের যে জায়গা সেই জায়গায়ও আরো এক-দেড় হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।’

আউটার স্টেডিয়াম নির্মাণ হলে সেখানে আান্তর্জাতিক সিরিজের সময় দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়রা সিলেট সফরে অনুশীলনের সুযোগ পাবেন। তাছাড়া বয়স ভিত্তিক দলের খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের সুযোগও সৃষ্টি হবে।

২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সিলেটের এই ভেন্যুটির। এখানে এখন পর্যন্ত সাতটি টি-টোয়েন্টি, একটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ সাতটি হলেও বাংলাদেশ খেলেছে একটি ম্যাচ। তাছাড়া এখানে গত বছর বিপিএলের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিপিএলের আগামী আসরেও এখানে ম্যাচ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের ম্যাচও হয় এখানে। বয়স ভিত্তিক দলের আন্তর্জাতিক ম্যাচও সিলেটে আয়োজন করা হয়। তাছাড়া বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সিলেটে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়।

২০১৮ সালেই প্রথমবারের মতো সিলেটে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। গত ফেব্রুয়ারিতে এখানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। গত মাসে এই ভেন্যুতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ খেলে টাইগাররা। আর গত শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ খেলে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।

(ঢাকাটাইমস/১৫ ডিসেম্বর/এইচএ)