রুহুল আমিনে গর্বিত নোয়াখালীবাসী

এম আর রিয়াদ, নোয়াখালী
 | প্রকাশিত : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:০৩

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের আত্মত্যাগের গর্বিত নোয়াখালীবাসী। জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের বাঘপাঁচড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান। স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) নূর ইসলাম জানান, তার গ্রামের সূর্যসন্তান মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। এটা তাদের জন্য গর্বের বিষয়।

নূর ইসলাম জানান, রুহুল আমিনের দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। বড় ছেলে বাহার উদ্দিন ১৪ থেকে ১৫ বছর আগে মারা গেছেন। তিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছোট ছেলে শওকত। স্বাধীনতা যুদ্ধে রুহুল আমিন যখন শহীদ হন তখন শওকতের বয়স ছিল মাত্র দুই বছর। বর্তমানে শওকত তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার ও মেয়ে বৃষ্টিকে নিয়ে বাবার ভিটেতেই আছেন। তবে শওকত মানসিক রোগী। বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান। তিনি সরকারি সহযোগিতা পান। তাকে পাঁচ কক্ষের একটি পাকা ঘর ও প্রয়োজনীয় আসবাপত্র তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

ইউপি সদস্য জানান, ২০০৮ সালে তার নিজ গ্রামে স্থাপন করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মো. রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। তার পৈত্রিক ভূমিতে নির্মাণ করা গ্রন্থাগারে রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বই। এখানে রুহুল আমিনের ব্যবহার্য সামগ্রীর সমাহার ঘটানোর পাশাপাশি কমপ্লেক্সটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর জঙ্গি বিমান থেকে বর্ষিত গোলার আঘাতে খুলনার রূপসা নদীতে রণতরী পলাশে যুদ্ধরত অবস্থায় শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন। তিনি ১৯৩৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের বাঘপাঁচড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এসএসসি পাস করে ১৯৫৩ সালে জুনিয়র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের এপ্রিলে ঘাঁটি থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :