আবির রাঙা স্মৃতি

ইরফান রানা, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৫২

একঝাঁক তরুণ-তরুণীর পরনে সাদা টি-শার্ট। হাতে রঙিন কলম। একে অপরের গায়ের সাদা শার্টে রঙিন কালি দিয়ে লিখছে নানা কথা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন শিক্ষকরাও। পরম মমতায় শিক্ষার্থীদের গায়ে লিখে চলেছেন উৎসাহব্যাঞ্জক বাণী। এরই মাঝে তনু নামের এক শিক্ষার্থী হঠাৎ আবির নিয়ে হাজির হন। মুহূর্তেই লাল, সবুজ ও হলুদসহ আবিরের নানা রঙে রাঙিয়ে দেন উপস্থিত সবাইকে। আবিরের রঙে রঙিন হয় সাদা টি-শার্ট। চোখে মুখেও লাগে রঙের ছটা। এমন দৃশ্যের দেখা মেলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রনীতি ও লোক-প্রশাসন বিভাগে। কেননা, ১২ নভেম্বর সেখানে আয়োজন করা হয়েছিল ২৫তম ব্যাচের র‌্যাগ ডে। ওই বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই আয়োজন।

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জুলফিকার হোসেন কেক কেটে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এ সময় জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. একেএম মতিনুর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম এবং সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি মর্তুজা উপস্থিত ছিলেন।

র‌্যাগ ডে উদ্বোধনের পরে শুরু হয় বর্ণাঢ্য র‌্যালি। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। প্রধান ফটক, শহীদ মিনার স্মৃতিসৌধ এবং ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে ঘণ্টাব্যাপী চলে ছবি তোলার ধুম।

ক্যাম্পাসজীবনের এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি তোলায় সবাই যেন ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল সবাই।

দুপুরে মফিজ লেকে আয়োজন করা হয় মধ্যাহ্ন ভোজের। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিভাগের শিক্ষকরা অংশ নিয়ে গান গেয়ে মাতিয়ে তোলে সবাইকে। র‌্যাগডে একটি ইংরেজি প্রবাদ যার অর্থ পড়ালেখা শেষের হৈচৈপূর্ণ দিন। সময়ের আবর্তে শিক্ষাজীবন সমাপ্তি রেখায় দাঁড়ালে র‌্যাগডের আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা।

‘জিয়া হল মোড়ে চায়ের আড্ডা, দলবেঁধে হৈ-হুল্লোড়, টিএসসিসিতে একে অন্যের প্রেয়সীকে হাসি-আড্ডা আর গল্প, রাতে চিৎকার দিয়ে গান গেয়ে ওঠার দিনগুলো প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে। সোনালি দিনগুলো আর কোনোদিন ফিরে আসবে না। এই তো সেদিন ১৭৫ একরের ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। স্বপ্নের ক্যাম্পাসে স্বপ্ন দেখতেই চার বছর কেটে গেল। স্মৃতির পাতায় জমে আছে কত স্মৃতি। স্মৃতিগুলো চিরদিন অমলিন হয়ে থাকবে বলে স্মৃতিরোমন্থন করে মোশাররফ, রিমন, সুজয়, পার্থ ও ইউনুস।

মিমি ও রাকিবের অনুভূতি ‘প্রথম দিন ক্যাম্পাসে এসে কাউকেই চিনতাম না। আজ এখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষক, বন্ধু-বান্ধবী এবং বড় ও ছোট ভাই দিয়ে ভরে গেছে। স্বল্পদিনে একসুতোয় বাঁধা পড়েছি আমরা। সবাই মিলে যেন একটি পরিবার। মনে হচ্ছে এই তো সেদিন আসলাম। কিন্তু পার হয়ে গেছে চারটা বছর। এ সময়টা ছিল স্বপ্নের মতো। এই চার বছরে জমা হওয়া স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। একদিন কেউই থাকবে না এখানে। সবাই যে যার স্থানে চলে যাবে। এখানকার শিক্ষক, বন্ধু-বান্ধবী কারও যেন তুলনা হয় না।’

(ঢাকাটাইমস/১৬ডিসেম্বর/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :