একশ এক একর স্বপ্ন ভূমি

প্রকাশ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:০৮

ওহী আলম, ঢাকাটাইমস

একশ এক একর। ছোট এক রঙিন স্বপ্নের নাম। মূল শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরের এ ক্যাম্পাসে তপ্ত রোদ, মাথার ওপর বিশাল আকাশ, ঝুম বৃষ্টি বিলাস, মেঘসাদা কাশ বন আর নীল দীঘি রয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন বোনে আকাশমণির হাটে। যেখানে আছে ময়না দ্বীপ, লন্ডন রোড, পদ্ম দীঘির পাড় সূর্যাস্তের মোড়। বঙ্গবন্ধু চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা  মুক্তিযুক্তের ভাস্কর্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেয় দেশকে নিয়ে নতুন করে ভালোবাসার। দেশের জন্য কিছু করার।

এখানে নেই যান্ত্রিকতা কিংবা শহরের ন্যায় কোলাহল, নেই কোন দূষণ কিংবা যানজট। এ প্রকৃতির হাতে গড়া এক মায়াময় ক্যাম্পাস। 

নোয়াখালী জেলার মূল শহর মাইজদি থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে সোনাপুর চর জব্বর সড়কের পশ্চিম পাশে ১০১ একর সুবিশাল ক্যাম্পাস নিয়ে গড়ে উঠেছে উপকূলীয় অক্সফোর্ড খ্যাত নোবিপ্রবি।

মাত্র চারটা বিভাগ নিয়য়ে শুরু করা এ ক্যাম্পাসে বর্তমানে ছয়টি ফ্যাকাল্টি, দুটি ইনস্টিটিউট ও ৩০টি বিভাগ রয়েছে।

আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গতিশীল যুগোপযোগী শিক্ষা, বৈচিত্র্যময় বিষয়ের সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে এখানকার পাঠ্যসূচি। 

এমন বৈচিত্র্যময় বিষয়ে অধ্যয়নের সূযোগ দেশের আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এখনো দিতে পারেনি। 

শুধু পড়ালেখা না পাশাপাশি খেলাধুলা, সামাজিক- সাংস্কৃতিক দিক দিয়েও যথেষ্ট সক্রিয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

তরুণ ক্যাম্পাসটায় আছে বেশকিছু দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। সুবিশাল প্রবেশদ্বার, মূল ফটকের সামনেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভ, প্রশাসনিক ভবনের সামনে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্য, ফাউন্টেনপেন আকৃতির শহীদ মিনার, উপাচার্যের ভবন, বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়াম, বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল, চিরসবুজের ছায়াঘেরা বিশ্ববিদ্যালয় পার্ক সবাইকে মুগ্ধ করে।

নয়টি একতলা বাস এবং আটটি বিআরটিসি ডাবল ডেকার প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের পরিবহন সেবা দেওয়া কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৬ডিসেম্বর/এজেড)