নিজ জেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অবহেলিত’ বীরশ্রেষ্ঠ

প্রকাশ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৫৬

ওহী আলম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের নিজ জেলা নোয়াখালীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নামে কোনো স্থাপনা নেই।

নেই স্মৃতিস্তম্ভ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হল, ভবন বা ভাস্কর্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না জাতির এই বীর সন্তানকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি নির্মাণাধীন হলসহ পাঁচটি আবাসিক হল থাকলেও কোনোটির নাম এই বীরের নামে করার উদ্যোগও নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র সালমান হৃদয় বলেন, ‘যিনি নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে গেছেন দেশের জন্য, মাতৃভূমির জন্য অথচ তার নিজ জেলায় অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজে তার নামে কোনো স্থাপনা নেই। এমনকি তার পরিবারও নিজ এলাকায় অবহেলিত।’

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বক্তৃতায় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অনেক গুণগান করলেও দুঃখজনক বিষয় হলেও সত্য, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর থেকে কতটুকু স্মরণ করা হয়, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।’

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোমিনুল হক ঢাকা টাইমসকে বলেন, “বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন শুধু নোয়াখালী জেলার নয়, গোটা জাতির। তার নাম বিশ্ববিদ্যালয়ে না থাকাটা আসলেই লজ্জা ও দুঃখজনক। তার নামে স্থাপনা নামকরণের প্রস্তাব কয়েকবার উঠেছিল। কিন্তু ‘বঙ্গবন্ধু’, ‘বঙ্গমাতা’ ও ‘হাজী ইদ্রিস’ নামের কাছে পেছনে পড়ে যায়।”

রুহুল আমিনের নাতি সোহেল চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টির নামই বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের নামে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তখনকার রাজনৈতিক ফ্যাসাদে তা আর হলো না। এ নিয়ে আমাদের কোনো আফসোস নেই। আজ হোক আর পঞ্চাশ বছর পর হোক, জাতি ঠিকই এই নামগুলো খুঁজে নেবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওনার নামে অবশ্যই একটি স্থাপনা থাকা উচিত। ন্যূনতম একটি হল হলেও। আমরা যদি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেখি, সেখানে স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামেই সব হলের নামকরণ করা হয়।’