ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি প্রার্থী শ্যামলের গাড়ি ভাঙচুর

প্রকাশ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:০০ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:৩০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করেছে প্রতিপক্ষ।  এই ঘটনার জন্য যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছে স্থানীয় বিএনপি।

আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

হামলার ঘটনায় বিএনপির প্রার্থীর ব্যক্তিগত সহকারী হারুন মিয়া, জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মনির হোসেন ও ছাত্রদলের নেতা মোকাররম হোসেন আহত হন বলে জানায় বিএনপি। 

পুলিশের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে জানিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী শ্যামল সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার  গাড়িটি ভাঙচুর করেছে। এ সময় পুলিশ নির্বিকার ছিল।’

উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান ফয়জুন্নাহার টুনির নেতৃত্বে হামলা হয় অভিযোগ করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন বলেন, ‘ধানের শীষের প্রচারণায় প্রতিদিন হামলার ঘটনা ঘটছে।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুন্নাহার টুনি। তিনি দাবি করেন, তারা বিজয় মিছির করার সময় একটি গাড়ি মিছিলে ঢুকে পড়ে। সেটি কার গাড়ি কিংবা গাড়িটি ভাঙচুর হয়েছে কি না তা জানেন না তিনি।

বিএনপির প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এ রকম একটি খবর তারা শুনেছেন। এ ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছেন তারা।

এর আগে গতকাল জেলা বিএনপি এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে, ধানের শীষের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের অফিস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির নিশ্চিত বিজয় ঠেকানোর জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুরো নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে। যেখানেই ধানের শীষের জোয়ার সেখানে বিএনপির প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষের প্রচারণায় হামলা, অফিস ভাঙচুরসহ তা-ব চালানো হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৬ডিসেম্বর/মোআ)