মুক্তিযুদ্ধের বীর ও স্বজনদের সংবর্ধনা বিজিবির
মুক্তিযুদ্ধের সময় বীরত্বের জন্য খেতাব পাওয়া বীরশ্রেষ্ঠদের স্বজন, আট জন বীরউত্তম, ৩২ জন বীর বিক্রম এবং ৭৭ জন বীর বিক্রম ও তাদের পরিবারকে সংবর্ধনা দিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। বিজয় দিবসে রবিবার বেলা ১২ টার সময়ে পিলখানার বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, মোস্তাফা কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। তারা বিজিবির মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন। এরপর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারী ও স্বজনদের সম্মানে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সে সময়ের ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস-ইপিআরের ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। বাহিনীর বাঙালি সেনারা বিদ্রোহ করে পাকিস্তানিদের সঙ্গে সম্মুখ সমরে লিপ্ত হয়। আর বীরত্বের জন্য বাহিনীটির দুই জন সদস্য পেয়েছেন বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব। এরা হলেন মুন্সি আবদুর রউফ এবং নূর মোহাম্মদ শেখ। বীর উত্তম, বীর বিক্রম খেতাবও পেয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য।
যুদ্ধের সময় বিদ্রোহ করা বাহিনীর নাম হয় বাংলাদেশ রাইফেলস-বিডিআর। পরে নাম হয় বিজিবি।
প্রতি বছরই যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উদযাপন করে বিজিবি। ভোর ৬১০ মিনিটে বাহিনীর সদরদপ্তরসহ সব ইউনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে সাতটায় পিলখানার ‘সীমান্ত গৌরব’ স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিজিবি প্রধান।
বিজিবি সদরদপ্তর ছাড়াও বাহিনীর সকল রিজিয়ন, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন ও ইউনিটেও বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করা হয়। বিজিবি সদর দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ ভবন, স্থাপনা ও গেইটে আলোকসজ্জা করা হয়।
ঢাকাটাইমস/১৬ ডিসেম্বর/এএ/ডব্লিউবি