ফরিদপুর-৩ আসন

‘বিএনপি প্রার্থীর সঙ্গে বিশেষ আঁতাত করেছেন সিইসি’

ফরিদপুর প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ২৩:০৫ | প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:২৫

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সঙ্গে বিশেষ গোপন আঁতাতের অভিযোগ এনেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট সারদা সুন্দরী বালিকা বিদ্যালয় মাঠে নৌকার পক্ষে নির্বাচনী সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের অভিযোগ এনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘সিইসি আমার ফোন ধরেন না। এমনকি সৌজন্যবশতঃ ফিরতি ফোনও করেন না।’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ জনপ্রিয়তা হারিয়ে ভালো-মন্দ বোধশূন্য হয়ে পড়েছেন। তার নির্বাচনী প্রচারণায় দলীয় নেতাকর্মী বা জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নেই। তাই তিনি প্রলাপ বকা শুরু করেছেন।’

‘নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে কামাল ইউসুফ নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টির মিথ্যা অভিযোগ করছেন। কমিশন আমার কাছে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে আমি বলেছি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাউকে বাধা দিচ্ছেন না। কামাল ইউসুফ জয় বাংলা স্লোগান শুনে ভয় পেয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।’

তিনি বলেন, ‘আগুন সন্ত্রাসী দলের প্রার্থী কামাল ইউসুফ এখন নিজের ছায়াকেও ভয় পাওয়া শুরু করেছেন। নির্বাচন থেকে নিজে সরে যাওয়ার অজুহাত খুঁজছেন। তাই নির্বাচন কমিশনে তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন। অভিযোগ পেয়ে সেটাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর নির্বাচন কমিশন থেকে আমার কাছে ফোন করে জানতে চাওয়া হয়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এসব ব্যাপারে কথা বলতে যখন আমি সিইসি কেএম নুরুল হুদাকে ফোন করি, তখন তিনি আমার ফোন ধরেন না। এমনকি ভদ্রতা বা সৌজন্য বশতঃ আমাকে ফিরতি ফোনও করেননি।’

তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ‘এটা কি নির্বাচন কমিশনের স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতিত্ব নয়? তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের নিশ্চয়ই কোনো বিশেষ গোপন আঁতাত আছে। তাই আমার ফোন ধরেন না।’

‘নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। তিনি এ ধরনের আচরণ করতে পারেন না।’

নির্বাচনী সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সাংবাদিকদের লেখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি গোপনে এ অভিযোগ করছি না। প্রকাশ্যেই এবং আনুষ্ঠানিকভাবে এ অভিযোগ করছি। আপনারা (সাংবাদিক) এ কথাগুলো পত্রিকায় ছাপান।’

নৌকার এই প্রার্থী আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সার্বিক উন্নয়নের কারণে মানুষ আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে চায়।’

ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ভোটের লড়াই থেকে বিএনপি পালানোর পথ খুঁজছে। বিএনপির আমলে এক কেজি কাঁচা মরিচ নিয়ে কেউ বাজার থেকে বাড়ি যেতে পারতেন না। কিন্তু এখন এই জনপদে কোনো সন্ত্রাসী নেই। শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে। এটা ওদের সহ্য হচ্ছে না। ওরা এই শান্ত জনপদকে অশান্ত করতে চায়। কিন্তু মানুষ আর কোনো ভুল করবে না। পাল্টা জবাব দেবে।’ পালিয়েও পার পাবেন না। জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে।’

আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু, গোলাম মো. নাসির প্রমুখ।

পরে খন্দকার মোশাররফ হোসেন শহরের জোহরা বেগম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মাধবপুর, মাচ্চর ইউনিয়নের পরানপুর এবং শহরের আলীপুর উদয়ন সংঘ মাঠে নির্বাচনী সভা ও প্রচারণায় অংশ নেন।

(ঢাকাটাইমস/১৬ডিসেম্বর/প্রতিবেদক/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :