ভোট হবে কি না সংশয়ে কামাল

প্রকাশ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:০৪ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নির্বাচন হবে কি না, এ নিয়ে সংশয়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন। বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীনরা জনমত বুঝে গেছে। যে কারণে জোর করে ক্ষমতায় থাকার সব ধরনের চেষ্টাই তারা করছে।’

‘নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হয় ক্ষমতাসীনরা সে চেষ্টাই করছে বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই নির্বাচনই হবে কি হবে না তা নিয়ে আশঙ্কা আছে।’

রবিবার পুরানা পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন কামাল হোসেন বক্তব্য রাখছিলেন। দেশের ‘চলমান পরিস্থিতি’ তুলে ধরতেই সাংবাদিকদের ডাকেন তিনি।

কামাল বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছি। কিন্তু, ৩০ ডিসেম্বর ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে দেয়া হবে কি না, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে সন্দেহ রয়েই গেছে।’

‘ভোটের দিন গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। ভোটারদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। প্রার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আশঙ্কা থেকেই যায়, ভোটের দিন কী হবে?’

গত সোমবার ভোটের প্রচার শুরুর পর থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা হচ্ছে। বিএনপির দুই জন প্রার্থী ছাড়াও আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি। হামলা হয়েছে বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাস, আফরোজা আব্বাস, হাসিনা আহমেদ, মাহবুব উদ্দিন খোকন, রোমানা মাহমুদসহ কয়েক জনের ওপর। ঢাকায় হামলা হয়েছে ড. কামালের গাড়িবহরেও।

আবার ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নেতা, নোয়াখালীতে যুবলীগ নেতা এবং পাবনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুন হয়েছেন। হামলা হয়েছে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর নির্বাচনী ক্যাম্পে। ভোলায় আওয়ামী লীগের মিছিলে হয়েছে গাড়ি হামলা।

কামাল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার পরও প্রার্থীদের ওপর হামলা এবং  গ্রেপ্তারে আমরা উদ্বিগ্ন। এভাবে গ্রেপ্তার সংবিধানবহির্ভূত, এটা হতে পারে না। খ্বুই দুঃখজনক যে, ভোটারদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। মিছিল মিটিংকারীদের আক্রমণ করা হচ্ছে, প্রার্থীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, গুলি করা হচ্ছে। আরও দুঃখজনক যে, এসব ঘটনায়  কোনো তদন্ত হয় না, কোনো আইনানুগ ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে না। এসব তো খেয়াল খুশির ব্যাপার না।’

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নে কামাল বলেন, ‘আশঙ্কা তো আছেই, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না? আমরা তো তথ্য দিচ্ছি। আশঙ্কা তো আছেই। নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ হতে দেয়া হবে না। এটা তো আপনারা দেখছেন আমরা দেখতেছি। জনমত কাদের পক্ষে তারা তো তারা বুঝে গেছে। সরকার না কি আমাদের পক্ষে।’

আপনারা তো সেভাবে মাঠেই নামতেই পারেননি। এই অবস্থায় বাকি সময়টুকুতে কতটা করতে পারেন- এমন প্রশ্নে ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, ‘অবশ্যই টিকে থাকতে পারবো। জনমত থাকলে মাঠে টিকে না থাকার কোনো প্রশ্নই নেই।’

রাষ্ট্রপতির একটি আমন্ত্রণে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে ড. কামাল বলেন, ‘ওখানে তাকে আগামীকাল সোমবার আমাদের সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হবে কি না জিজ্ঞেস করব?’

সোমবার বেলা ১১টায় হোটেল পূর্বাণীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে বলেও কামাল হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু,  চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/১৬ডিসেম্বর/জিএম/ডব্লিউবি