তালেবানকে লক্ষ্য করে হামলায় শিশুসহ নিহত ২০

প্রকাশ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ২৩:৩৬

ঢাকা টাইমস ডেস্ক

আফগানিস্তানে এক তালেবান কমান্ডারকে লক্ষ্য করে চালানো বিমান হামলায় ১২ শিশুসহ অন্তত ২০ আফগান বেসামরিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে পূর্বাঞ্চলীয় কুনার প্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

স্থানীয় তালেবান কমান্ডার শরিফ মাবিয়ার বিরুদ্ধে বিমান অভিযানটি চালানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তারা। প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য আব্দুল লতিফ ফজলি জানান, বিমান হামলায় আট নারী ও ১২ শিশু নিহত ও ১৫ জনেরও বেশি বেসামরিক আহত হয়েছেন।

কুনারের গভর্নর আব্দুল সাত্তার মির্জাকওয়াল জানিয়েছেন, শেলতান জেলায় আফগান বাহিনীগুলোর এক অভিযানে ৩৮ তালেবান ও আল কায়েদা সদস্য নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে চার বিদেশি নাগরিকও ছিল; অভিযানে আরও ১২ জন আহত হয়েছেন।

তালেবান কমান্ডার শরিফ মাবিয়াকে লক্ষ্য করে অভিযানটি চালানো হয় এবং তাকে আল কায়েদা জঙ্গিরা সহায়তা করত এমন বিশ্বাস প্রচলিত বলে জানিয়েছেন তিনি। বিমান

অভিযানটিতে অজ্ঞাত সংখ্যক বেসামরিকও আঘাত পেয়েছেন কিন্তু হতাহতের বিস্তারিত বিবরণ পাননি বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

তিনি বলেন, ‘নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক নিহত হয়েছেন বলে জানি এবং ঘটনাস্থলে একটি তদন্ত দল পাঠাচ্ছি আমরা।’

ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন বাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, ওই ঘটনার সময় কুনারে তারা কোনো বিমান অভিযান চালাননি। তাৎক্ষণিকভাবে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তালেবান বিদ্রোহীদের মাঠ পর্যায়ের জ্যেষ্ঠ কমান্ডারদের লক্ষ্য করে সম্প্রতি ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে মার্কিন ও আফগান বাহিনী। এ ধরনের এক অভিযানে ২ ডিসেম্বর হেলমান্দ প্রদেশের ছায়া গভর্নরও নিহত হন।

মার্কিন সামরিক উপদেষ্টাদের পরামর্শ ও বিমান শক্তির সমর্থন নিয়ে চলতি মাসের শুরু থেকে এ অভিযানটি শুরু করে আফগান বাহিনীগুলো। তারপর থেকে বেশ কয়েকজন তালেবান সামরিক কমান্ডার নিহত হলেও এই কৌশল বেসামরিক হতাহতের ঝুঁকিও বাড়িয়েছে। 

তালেবানকে শান্তি আলোচনায় বসতে বাধ্য করার লক্ষ্য নিয়ে পশ্চিমা সমর্থিত বাহিনীগুলো বিমান হামলা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেয়। এরপর থেকে চলতি বছর মার্কিন ও আফগান বিমান অভিযানে আফগান বেসামরিকদের নিহত হওয়ার সংখ্যাও হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত নয় মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেসামরিক নিহতের সংখ্যা ৩৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।