ভোটকেন্দ্রে লাশ যাবে, তবু সরব না: ড. কামাল

প্রকাশ | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:২৯ | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:০৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ভোট থেকে সরাতে চায় অভিযোগ করে যে কোনো মূল্যে ভোটে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। বলেছেন, মরে গেলেও তারা ভোট বর্জন করবেন না।

সোমবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করে নানা অভিযোগ দিয়ে আসেন ড. কামালসহ তার জোটের কয়েকজন নেতা। বেলা দুইটা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত এই বৈঠক চলে।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এবং চার কমিশনার। আর ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আবদুল কাদের সিদ্দিকী, আ স ম রব, মাহমুদুর রহমান মান্না।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ড. কামাল বলেন, ‘আমাদের ওপর জঘন্যভাবে হামলা করে সরকার এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে যেন আমরা আবেগে ভোট বর্জন করতে বাধ্য হই। কিন্তু আমরা মরে গেলেও ভোট বর্জন করব না। দরকার হলে ভোটকেন্দ্রে আমার লাশ যাবে। তবু ভোট বর্জন করব না।’
গত ১০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভোটের প্রচার শুরুর পর থেকেই দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। বেশিরভাগ হামলাই হয়েছে বিএনপির প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। অবশ্য যে তিনটি প্রাণহানি হয়েছে তার মধ্যে ফরিদপুরে একজন আওয়ামী লীগের, নোয়াখালীতে একজন যুবলীগ এবং পাবনার একজন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা।

ড. কামাল বলেন, ‘নূন্যতম একটা ভোটের পরিবেশ চাই আমরা। সবখানে একটি দলের পোস্টার রয়েছে, অন্য কারো পোস্টার নেই। আমি বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনী এজেন্ট ছিলাম, আমার দীর্ঘজীবনে এমন পরিবেশ দেখিনি। কমিশনের ক্ষমতা রয়েছে সব হয়রানি বন্ধের। কমিশন যদি পরিবেশ নিশ্চিত না করে আমাদেরও সিদ্ধান্ত নিতে হবে দুয়েকদিনের মধ্যে।’

ঢাকায় ধানের শীষের পোস্টার নাই কেন?
বৈঠকে বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা সমান সুযোগ পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন ড. কামাল। রাজধানীতে তাদের প্রার্থীদের কোনো পোস্টার না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে এ বিষয়ে কমিশনের তদন্তও দাবি করেন তিনি।

ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, ‘ধানের শীষের প্রার্থীরা জনসংযোগ চালানোর সমান সুযোগ পাচ্ছে না। কোথাও আমাদের ধানের শীষের প্রার্থীরা নামতে পারছে না। আমাদের প্রার্থীরা মাঠে নামলেই তাদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে। ঢাকা শহরের কোথাও ধানের শীষের পোস্টার নেই। কেন পোস্টার নেই সে বিষয়ে আপনারা খবর নেন।’

ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘আমাদের অভিযোগ সম্পর্কে জেনে সিইসি বিব্রত হয়েছে। আমরা বলেছি, শুধু বিব্রত হলে চলবে না। এগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’