শিখবিরোধী দাঙ্গা

ভারতে কংগ্রেস নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশ | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:১৬ | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

১৯৮৪ সালে ভারতে শিখবিরোধী দাঙ্গার মামলায় রায় ঘোষণা করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতে মুক্তি পেলেও হাইকোর্ট কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারকে প্রধান অভিযুক্ত করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। পীড়িত পক্ষের মানুষ ছাড়াও শিখ সম্প্রদায়ের অগণিত মানুষ অধীর আগ্রহে এই মামলার রায় শোনার জন্য অপেক্ষা করছিল।

১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর রাজধানীজুড়ে শিখবিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়। তাতে মৃত্যু হয় প্রায় তিন হাজার শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষের। সেই দাঙ্গার জেরে দিল্লির ক্যান্ট এলাকার রাজপুরে ১৯৮৪ সালের পয়লা নভেম্বর সহস্রাধিক লোক জমায়েত হয়। সেখানেই শিখ সম্প্রদায়ের লোকেদের ওপর হামলা হয়। ঘটনার জেরে একই পরিবারের তিন ভাই নরেন্দ্র পাল সিংহ, কুলদীপ ও রাঘবেন্দ্র প্রাণ হারায়। আর এক পরিবারের গুরপ্রীত ও তার ছেলে কেহরকেও হত্যা করা হয়। ওই পাঁচজনের মৃত্যুর মামলা ফের আদালতে ওঠার পর বিপাকে পড়ে যান সজ্জন। চাম কৌর নামে এক মহিলা আদালতে সাক্ষ্য দেন ঘটনার দিন সজ্জন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে জনতাকে উত্তেজিত করেছিলেন। ওই মামলায় সজ্জন কুমারকে সনাক্ত করেন শীলা কৌর নামে আরও এক নারী।

দিল্লি পুলিশ ১৯৯৪ সালে মামলা বন্ধ করে দিয়েছিল, কিন্তু নানাবটী কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে  ২০০৫ সালে পুনরায় মামলা করা হয়।  মামলা চলাকালে গত মার্চ মাসে দিল্লি হাইকোর্টে একটি সিডি জমা পড়ে। সেখানে এক ভিডিওতে দেখা যায় দাঙ্গায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন সজ্জন কুমার।

গত ১৪ নভেম্বর শিখবিরোধী দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত যশপাল সিং নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদ- দেয় আদালত। দক্ষিণ দিল্লিতে ২ জন শিখকে খুনের অভিযোগ ছিল যশপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে। নরেশ কুমার নামে আরও এক দোষী সাব্যস্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

সরকারি হিসেবে ১৯৮৪ সালে শিখবিরোধী ওই দাঙ্গায় দেশজুড়ে ২৮০০ শিখের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে দিল্লিতেই খুন হন ২১০০ জন।

(ঢাকাটাইমস/১৭/ডিসেম্বর/একে)