কুষ্টিয়া-৪

পোস্টারে ‘ব্যারিস্টার’ নিয়ে দ্বন্দ্বে ভোটাররা

প্রকাশ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৪১ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৫৩

কুষ্টিয়া প্রতিবেদক

কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পোস্টারে নামের আগে ‘ব্যারিস্টার’ বসানো নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ভোটারদের মধ্যে। কেননা তার প্রকাশিত হলফনামার কপিতে শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে লেখা- ‘এলএলএম উত্তীর্ণ’।

তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জ দাবি করছেন, পোস্টারে কোনো ভুল নেই। তিনি লন্ডন থেকে বার ডিগ্রি নিয়েছেন।

কুমারখালীর রেলস্টেশনসংলগ্ন চায়ের দোকানে কয়েকজন ভোটার বলেন, সেলিম আলতাফ জর্জ ব্যারিস্টারি পাস হলে সেটা কুমারখালীবাসীরই গর্বের বিষয়। তিনি নৌকা প্রতীকের পোস্টারে ব্যারিস্টার শব্দ ব্যবহার করেছেন, সেটি মনোনয়ন দাখিলে হলফনামায় ব্যবহার করা দরকার ছিল।

কয়েকজন জানান, সেলিম আলতাফ জর্জ ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন থেকে আর্থিক সহায়তাও নিয়েছেন। এ বিষয় নিয়ে খামোখা বিতর্কে না যাওয়াই ভালো।

কুন্ডুপাড়া এলাকার একজন বলেন, ‘সারা জীবনভর কেউ কারও খোঁজ রাখে না, ভোট আসলেই বিশেষ করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নাড়িনক্ষত্র নিয়ে টানাটানি শুরু হয়। এসব বিষয় জনসম্মুখে আনা মানে তার ভোটের ইমেজে প্রভাব ফেলানো।’

রির্টানিং কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের দপ্তরে দাখিল করা সেলিম আলতাফের হলফনামা সূত্রে জানা যায়, তিনি তাতে সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে ‘এলএলবি (অনার্স), এলএলএম’ উল্লেখ করেছেন। এর সঙ্গে মূল সনদের সত্যায়িত ফটোকপি সংযুক্তির কথাও বলা হয়েছে।

পোস্টারে হলফনামার ব্যতিক্রম শিক্ষাডিগ্রি যোগ করার বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জ বলেন, ‘হলফনামায় দেয়া নাম এবং পোস্টারে দেয়া নামের মধ্যে কোনো তফাত নেই। আপনারা যারা গণমাধ্যমে কাজ করেন, একটু খবর নিয়ে দেখেন এগুলো সার্টিফিকেটের নাম দিতে হয়। হলফনামায় আমি এলএলবি অনার্স এলএলএম দিয়েছি, সেখানে আমার বারের সনদও দেয়া নাই।’ সব দিক থেকে পরাজিত ব্যক্তিরা এ-জাতীয় ধূ¤্রজাল সৃষ্টি ও চরিত্র হননে নেমে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কোথাও থেকে কোনো আর্থিক বা অন্য কোনো সহযোগিতা নিয়ে ব্যারিস্টারি পড়েননি দাবি করে সেলিম আলতাফ বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সক্ষমতা নিয়েই ব্যারিস্টারি পড়েছি। আমি ইংল্যান্ডের গ্রেনজিং থেকে বার করেছি এবং নিজ সামর্থ্যে করেছি। বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত অবগত আছেন।’