জীবন নিয়ে শঙ্কা সালাহউদ্দিনের, নানা অভিযোগ মান্নানের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:৩৭ | প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:২৫

বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে অভিযোগ করে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঢাকা-৪ (শ্যামপুর) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদ।

অন্যদিকে ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি-কলাবাগান) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আব্দুল মান্নানও নেতাকমীদের গ্রেপ্তার, ধানের শীষের পোস্টার ছিড়ে ফেলাসহ প্রচারণায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন।

বুধবার রাজধানীর শ্যামপুরে নিজ বাসভবনে সালাউদ্দিন আহমেদ ও ধানমন্ডির বাসায় আব্দুল মান্নান পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকে আমার নির্বাচনী এলাকার বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর আমাদের গণসংযোগের লাগানো ইত্যাদি কার্যক্রমে পুলিশ ও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর প্রার্থী সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা অব্যাহত বাধার সম্মুখীন হচ্ছি।'

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী কার্যক্রমে আমার শ্যামপুরের বাসাটি প্রধান অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে নেতা-কর্মীরা আসলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখায়। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।'

১০ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত গণসংযোগ এবং প্রচার প্রচারণায় একাধিকবার হামলা হয়েছে এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ মঙ্গলবার দুপুরে এলাকার ঘুণ্টিঘর এলাকায় গণসংযোগ চালানোর সময় একদল দুর্বৃত্ত গাড়ি ভাঙচুর করে।

এজন্য তিনি শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ ও ৫১ নং ওয়ার্ড কমিশিনার কাজী হাবিবুর রহমান হাবুকে দায়ী করেন।

সকল বৈরী পরিস্থিতি মোকাবেলা করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ধানের শীষের এই প্রার্থী।

এদিকে দলীয় নেতা-কমীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন, ধানের শীষের পোস্টার ছিড়ে ফেলাসহ নিবাচনী প্রচারণায় পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা-১০ আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে উপরে আল্লাহ নিচে গণমাধ্যম ছাড়া আমাদের দেখার কেউ নেই। ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে সরকারি বাহিনী কর্তৃক বারবার হামলার শিকার হয়েছি। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও এর কোনো সুষ্ঠু সমাধান পাইনি।’

তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত তার আসন থেকে ৭০ জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবি করে মান্নান বলেন, এখন পর্যন্ত আমার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা ১০ আসনে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি। তফসিল ঘোষণার পর সাত থেকে আটটি মামলাসহ মোট শতাধিক মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় আমার নির্বাচনী এলাকার প্রতিদিনই বিএনপি জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বাধা দান মারধরসহ অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মী কর্তৃক মারধরের শিকার হয়েছে। পুলিশ নির্দ্বিধায় বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গায়েবি মিথ্যা মামলায় অ্যারেস্ট করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলীয় নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য আমরা ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেনাবাহিনী অপেক্ষায় ছিলাম। যেহেতু চক্রান্তের মাধ্যমে তাদের নামে মাঠে নামানোটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সেহেতু আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা আমাদের প্রচার-প্রচারণা তুমুলভাবে চালাবো।’

সিইসির কথা পুলিশ মানছেন না- এমন দাবি করে তিনি বলেন, প্রচারণায় বাধা প্রদানের লিখিত অভিযোগ নিয়ে সিইসির কাছে গেলে তিনি জানান পুলিশ আমাদের কথা মানছেন না।’

তিনি বলেন, আমাদের পোস্টার লিফলেট ছিড়ে, পুড়িয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া হচ্ছে। আমার বাসভবনের চারপাশে সাদা পোশাকধারী পুলিশ ও বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান করছে। যার ফলে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যখন তখন গ্রেপ্তারের কারণে আমার কর্মীসমর্থকরা নির্বাচনী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেখা করতে আসতে আতঙ্কে থাকেন। এসব নিয়ে নির্বাচন কমিশন উপস্থিত হয়ে সরাসরি অভিযোগ করলেও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৯ডিসেম্বর/বিইউ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :