ইয়েমেনের নারীকে ভিসা দিতে বাধ্য হলো যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:৫২

সাধারণ নাগরিকদের তীব্র সমালোচনার মুখে ইয়েমেনের এক নারীকে ভিসা দিতে বাধ্য হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালে তার সন্তান মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তাকে দেখতেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদন করেছিলেন গত এক বছর ধরে। মঙ্গলবার তার পরিবারের আইনজীবীর বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে। খবর আলজাজিরার।

স্যাক্রামেন্তো ভ্যালির (কেয়ার-এসভি) আমেরিকা-ইসলামিক রিলেশন্স কাউন্সিল জানায়, আশা করা হচ্ছে বুধবার সন্ধ্যায় শায়মা সুলেহ ক্যালিফোর্নিয়ার উপসাগরীয় এলাকায় পৌঁছাবেন।

সুলেহর স্বামী আলি হাসান একজন আমেরিকান নাগরিক। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এই দিনটি আমার জন্য সবচেয়ে সুখের দিন। গত সপ্তাহে আমার ছেলেকে লাইফ সাপোর্ট খুলে নিতে চেয়েছিলাম। এতে আমরা মর্যাদার সঙ্গে শোক পালন করতে পারতাম।’

গত এক বছর ধরে শায়লা সুলেহ তার অসুস্থ ছেলেকে দেখতে মার্কিন ভিসা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু তাকে ভিসা দেওয়া হচ্ছিল না। সম্প্রতি এ খবর গণমাধ্যমে আসার পর তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ছয় মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে গত বছর শায়মার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। আলি হাসান এর আগে বলেছিলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এর আগে অনুরোধ করেছিলেন দ্রুত যেন তার স্ত্রীকে ভিসা দেওয়া হয়। যাতে করে তাদের অসুস্থ ছেলে আব্দুল্লাহ-কে শেষ বিদায় জানাতে পারে। আব্দুল্লাহ দুরারোগ্য মস্তিকের রোগে আক্রান্ত এবং মাত্র অল্প কয়েক দিনই সে বেঁচে থাকবে।

গত সোমবার কেয়ার-এসভি তার পরিবারের পক্ষে থেকে ফেডারেল আদালতে একটি জরুরি মামলা করে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মিশরের রাজধানী কায়রোতে মার্কিন দূতাবাস কর্তৃপক্ষ শায়মা সুলেহকে ভিসা দিচ্ছে না। শায়মা সুলেহ সেখানেই থাকেন। মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে সুলেহকে ভিসা দেওয়া হয়নি।

ওই পরিবারের আইনজীবী জেনিফার নিমার বলেন, ‘বিশেষ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া যে কত বড় প্রতারণা এটি একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গত এক বছরে ২৮টি আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বলে সোমবার আদালতে বিস্তারিতভাবে বলা হয়। এর আগের আইনজীবী মেডিকেল তথ্য-প্রমাণসহ তার ছেলে অন্তিম মুহূর্তে আছেন জানিয়ে দ্রুত ভিসা দেওয়ার আবেদন করা হয়। কিন্তু তাও প্রত্যাখ্যান করে মার্কিন দূতাবাস।’

‘সুলেহ ভিসায় ছাড় পাওয়ার সমস্ত শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও তাকে গত এক বছর ধরে ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। অবশেষের জনগণের চাপের মুখে তাকে ভিসা দিতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র।’

সান ফ্রান্সিসকো ক্রনিক্যাল জানায়, সুলেহ এবং হাসানের পরিচয় ইয়েমেনে। ২০১৫ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রায় দু’বছর পর তাদের ছেলে আব্দুল্লাহর জন্ম নেয়।

আব্দুল্লাহর আট মাস বয়সে শায়মা সুলেহ মিশরের উদ্দেশে ইয়েমেন ত্যাগ করেন। কায়রোতে হাসানের সঙ্গে তার দেখা হয়। এরপর মার্কিন দূতাবাসে স্ত্রী-সন্তানের ভিসার জন্য আবেদন করেন হাসান। কিন্তু স্ত্রীর ভিসা না হওয়ায় বাধ্য হয়েই অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার স্টকটন শহরে চলে আসেন হাসান।

(ঢাকাটাইমস/১৯ডিসেম্বর/এসআই)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

সাইপ্রাসে পুলিশি অভিযানে পাঁচতলা ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে বাংলাদেশি নিহত 

পাকিস্তানে ভারী বষর্ণ ও বজ্রপাতে নিহত ৩৯

ইরানে সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করল ইসরায়েলি বিমান বাহিনী

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ঠেকাতে পারেনি ইসরায়েল ও তার মিত্ররা

পপি জ্যাসপার আন্তর্জাতিক উৎসবে অনুষ্ঠিত হবে ‘ইরান ডে’

ইসরায়েলকে যুদ্ধে না জড়ানোর আহ্বান পশ্চিমা বন্ধুদের

ইরানের আক্রমণ যেভাবে ঠেকায় ইসরায়েল

ইরানের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে ‘একমত’ ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা

একটি ডিম নিলামে ২ লাখ ২৬ হাজারে বিক্রি! বিশেষত্ব কী?

ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় যোগ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র, উত্তেজনা না বাড়ানোর আহ্বান যুক্তরাজ্যের

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :