‘৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র ও মানুষের মুক্তির দিন’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনকে ‘মানুষের মুক্তির দিন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা কাদের সিদ্দিকী। বলেছেন, ‘একাত্তরে পাকিস্তানিদের পরাজিত করে আমরা জয়ী হয়েছিলাম, ৩০ ডিসেম্বরও আমাদের গণতন্ত্রের জয় হবে।’
বুধবার বিকালে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী ফুলতলী খেলার মাঠে এক জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দারোগা-পুলিশ দিয়ে নির্বাচনে পাস করা যায় না। আমি ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি জেলায় নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়েছিলাম, দেখেছি মানুষ আর মানুষ। এই মানুষের বাঁধ পাকিস্তানিরাও বন্ধ রাখতে পারেনি। পাকিস্তানিদের রেখে যাওয়া প্রেতাত্মারাও পারবে না।’
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এক মাঘে শীত যায় না। সরকার ভয় পেয়ে গেছে, তাই রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’ তিনি এ ধরনের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
জনসভায় সভাপতির বক্তব্যে কারাবন্দি প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরীর কন্যা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস বলেন, ‘একাত্তর দেখিনি, ২০১৮ দেখেছি। গণতন্ত্র মানে কি হাত-পা ভেঙে দেয়া, রাতের অন্ধকারে মায়ের বুক থেকে সন্তানকে কেড়ে নেয়া? আমরা আজ গণতন্ত্র আর মানবতার মুক্তির সংগ্রাম করছি। ৩০ তারিখে আমরা বুলেটকে ভয় পাবো না, ধানের শীষের জন্য কেন্দ্র পাহারা দেব।’
এসময় কান্নায় ভেঙে পড়ে জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র, বেগম খালেদা জিয়া ও আমার বাবাসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির জন্য সবধরনের ভয়কে জয় করে কেন্দ্রে যাবেন, আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।’
(ঢাকাটাইমস/১৯ডিসেম্বর/জেবি)