লক্ষ্মীপুর-২

অভিমানে ভোট থেকে সরলেন মহাজোটের প্রার্থী

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ২১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৩৭

লক্ষ্মীপুর-২ আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা মোহাম্মদ নোমান ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আসনটি তাকে ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগের অসহযোগিতায় তিনি প্রচার থেকে সরে গেছেন।

এই আসনে আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম পাপুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন। তার পাশেই আছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। আর ক্ষমতাসীন দলের সমর্থন ছাড়া ভোটের বৈতরণী পার হওয়া জাতীয় পার্টির নেতা নোমানের পক্ষে কঠিন ছিল।

পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম দাবি করেছেন, তার স্বামীকে সমর্থন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ নোমান। আর জয়ের ব্যাপারেও তারা আশাবাদী। তবে নোমানের কাছ থেকে এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ, তিনি ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।

গত বুধবার থেকেই প্রচারে ছিলেন না নোমান। গুঞ্জন ছিল, তিনি ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু নিশ্চিত করা যাচ্ছিল না প্রার্থী ফোন বন্ধ করে পর্দার আড়ালে চলে থাকায়।

এর মধ্যে নোমান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়। সেখানে নিজ দল জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা, লক্ষ্য নির্ধারণে অনিশ্চয়তা, কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়হীনতা এবং মহাজোটের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে নির্বাচনে বহাল থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেন।

মহাজোটের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংশয়, সন্দেহ, অবিশ্বাস ও বিভ্রান্তি তৈরি হওয়া এবং ‘লোভী, সুযোগসন্ধানীদের’ অবৈধ গোপন তৎপরতা ও আঁতাত, কেন্দ্রীয় সহযোগিতা না পাওয়াকেও এই সিদ্ধান্তের একটি কারণ হিসেবে জানান নোমান।

আওয়ামী লীগ এবার ২৯টি আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেওয়ার কথা জানায় আওয়ামী লীগ। তবে এসব আসনের তিনটিতে আওয়ামী লীগেরও প্রার্থী থেকে যায়। বাকি ২৬টির মধ্যে আছে লক্ষ্মীপুর-২। ২০১৪ সালের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নোমানকেই সমর্থনের কথা জানায় ক্ষমতাসীন দল। কিন্তু কুয়েত আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পাপুল এই সিদ্ধান্ত না মেনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। তিনি পেয়েছেন আপেল মার্কা। আর স্থানীয় আওয়ামী লীগ পুরোপুরি তার পক্ষে।

এই আসনে আওয়ামী লীগের সমর্থন ছাড়া জাতীয় পার্টির পক্ষে ভোটে জেতা কঠিন। ২০০১ সালে এই আসনে লাঙ্গলে ভোট পড়ে মাত্র এক হাজার ২৫১টি।

নোমান লেখেন, ‘আমি আমার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণ, যারা আমাকে অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং বাস্তবচিত্র অনুধাবন করে আমার সিদ্ধান্তকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আকুল আবেদন জানাচ্ছি।’

তবে নোমান সরে গেলেও তার নাম রয়ে যাবে ব্যালট পেপারে। কারণ, গত ৯ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়।

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী সেলিম মাহমুদ সাক্ষরিত একটি চিঠিও এসেছে লক্ষ্মীপুরে। এতে নেতা-কর্মীদেরকে পাপুলের পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এম আর মাসুদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমিও শুনেছি। তবে দলগতভাবে কোন চিঠি আমরা পাইনি।’

জেলা রিটর্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, এ মুহূর্তে কোােন প্রার্থী ইচ্ছা করলে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নাই। কারণ, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় পার হয়ে গেছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :