বাংলা একাডেমি

নতুন ডিজির শুভেচ্ছা বিনিময় ও শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশ | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:১৩ | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:৪৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাংলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী দায়িত্ব নেয়ার পর আজ ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও বাংলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

সকালে একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানটির সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর্বটি সারেন নতুন ডিজি।

এর আগে ওই মিলনায়তনে শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘বাংলা একাডেমি আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা এবং বিকাশে এই প্রতিষ্ঠান নিরন্তর কাজ করে চলেছে। আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সবার সম্মিলিত প্রয়াসে বাংলা একাডেমির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার মাধ্যমে দেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করব।’

এই অনুষ্ঠানে নতুন মহাপরিচালককে স্বাগত জানান একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ একাডেমির পরিচালক ও উপপরিচালকরা। শুভেচ্ছাপর্বটি পরিচালনা করেন একাডেমির প্রশাসন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম।

কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ

একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বেলা ১১টায় মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানে সনদ দেয়া হয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্স ৮১, ৮২, ৮৩ ও ৮৪তম ব্যাচের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণার্থীদের। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ। একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক অপরেশ কুমার ব্যানার্জী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

রোকেয়া স্মরণে একক বক্তৃতা

বিকাল চারটায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া স্মরণে একক বক্তৃতানুষ্ঠান হয়।  এতে স্বাগত ভাষণ দেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

কবি রুবী রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ‘রোকেয়া-মানস’ শীর্ষক একক বক্তৃতা করেন অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল।

স্বাগত ভাষণে কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘রোকেয়ার আলোকপথে আমরা অন্ধকার ভেদ করে সম্মুখে অগ্রসর হয়েছি। একটি অসম সমাজব্যবস্থার ভেতর থেকে তিনি যেমন লড়াই করে নিজে মুক্ত হয়েছেন, তেমনি এ দেশের নারীদের দেখিয়েছেন মুক্তির পথরেখা।’  

একক বক্তা অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল বলেন, ‘ব্যক্তি রোকেয়া, লেখক রোকেয়া এবং সংগ্রামী রোকেয়া- এই বিভিন্ন সত্তার অভিন্ন মানুষটি যেভাবে সামাজিক রক্ষণশীল বৃত্ত ভেঙে নারীর জন্য আলোকিত ভুবনের সন্ধান দিয়েছেন, তা বিস্ময়কর। তার যুক্তিবোধ, ইহজাগতিক চেতনা তাকে সব সময় লড়াকু ভূমিকায় অবতীর্ণ করেছে। আজ ২০১৮ সালে এসেও বেগম রোকেয়া তার কালজয়ী সাহিত্য ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমাদের নিত্যপ্রেরণার উৎস হয়ে আছেন।’

(ঢাকাটাইমস/২৩ডিসেম্বর/মোআ)