মেহেরপুরে দুটি আসনেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস

রাজিবুল হক
| আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:০০ | প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:৪৩

দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মেহেরপুরের দুটি আসনে কোনো একক দলের আধিপত্য নেই। একটি আসনে গত চার নির্বাচনে দুবার করে জিতেছে দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আর একটি আসনে বরাবর বিজয়ী ও পরাজিতের মধ্যে ব্যবধান ছিল খুবই কম।

গত ১০ ডিসেম্বর থেকেই জেলার দুটি আসনেই ভোটের প্রচার চলাকালে দুই প্রধান দলের প্রচার ও কর্মিসমাবেশে হামলার অভিযোগ উঠেছে। দুপক্ষই একে অপরকে অভিযুক্ত করে নিজেদের দায় অস্বীকার করেছে।

অভিযোগের মধ্যেও কর্মিসভা, পথসভা, উঠান বৈঠক, আর লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে চলছে প্রচার।

মেহেরপুর-১

সদর ও মুজিবনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদী আসনে ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে আসনটিতে জেতে আওয়ামী লীগ। আর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জেতে বিএনপি। এবার নৌকা নিয়ে লড়ছেন ফরহাদ হোসেন দোদুল আর ধানের শীষ নিয়ে মাসুদ অরুণ। তবে মোট প্রার্থী পাঁচজন

প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে গণসংযোগ। এর মধ্যেই ভোটের পরিবেশ নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন বিএনপির প্রার্থী। ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণা ক্যাম্প ও মাইক ভাঙচুর করা হচ্ছে। এতকিছুর পরও যদি ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে পারে তাহলে অবশ্যই আমি জয়ী হব।’

আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফরহাদ হোসেন দোদুল তার প্রচারে সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরছেন। তার কর্মীরা বিভিন্ন দলে দলে বিভক্ত হয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছে। পিছিয়ে নেই নারী কর্মীরা।

নৌকার প্রার্থী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আসনটির সব কর্নারে যাওয়ার চেষ্টা করছি। গত ১০ বছরে সরকারের উন্নয়ন ও তার সুফল তুলে ধরে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার জন্য মাঠে রয়েছি এবং সবার দোয়া নিয়ে বিজয়ী হব।’

দুই প্রার্থীর বাবাই ছিলেন সংসদ সদস্য। দুজনেরই ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে আসনটিতে।

মেহেরপুর-২

গাংনী উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে বিএনপির প্রচার তুলনামূলকভাবে কম। এখানে নৌকা পেয়েছেন সাহিদুজ্জামান খোকন আর ধানের শীষ পেয়েছেন জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

প্রচার কম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে মিল্টন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমার বেশ কয়েকটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়েছে। কর্মীরা ভীত হয়ে পড়েছে।’

‘তবে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার। যদি মানুষ ভোট দিতে পারে তাহলে ঐক্যফ্রন্ট বিজয়ী হবে।’

আওয়ামী লীগের প্রার্থী খোকন বলেন, ‘নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে কর্মিসমাবেশের মাধ্যমে সবাইকে নিয়ে মাঠে থাকছি। ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করবে।’

১৯৯১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আসনটিতে তিনবার বিএনপি এবং একবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জিতেছেন। ২০০৮ সালে দুই হাজার ৪৮৯ ভোটে নির্ধারণ হয় জয় পরাজয়। ১৯৯১ও সালে দুই পক্ষে ব্যবধান ছিল এক হাজার ১৭৫।

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :