নদী থেকে সরোয়ারের কর্মীকে নিয়ে গেল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:৫৬ | প্রকাশিত : ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:৪৩

নির্বাচনী প্রচারণা করে সমর্থকদের নিয়ে ফিরছিলেন বরিশাল-৫ আসনের বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন থেকে স্পিডবোটে করে শহরে ফেরার পথে নদীতে আরেকটি স্পিডবোটে করে আসে পুলিশ। মশিউর রহমান পলাশ নামে সরোয়ারের এক কর্মীকে নিয়ে যায় তারা। এসময় পলাশকে আটক না করতে পুলিশকে বারবার অনুরোধ করেন সরোয়ার। তবে বিফল হন। পরে রিটানিং কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে অভিযোগ দেন সরোয়ার।

গতকাল মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে চরমোইয়ের বিশ্বাসের হাট এলাকায় কীর্ত্তনখোলা নদীতে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার একটি ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে সাদা পোশাকের ওই পুলিশের দল বন্দর থানার বলে নিশ্চিত হয়েছে ঢাকা টাইমস। তবে আটক পলাশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে কি না সে ব্যাপারে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মজিবর রহমান সরোয়ার ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় নদীর ওপারে চন্দ্রমোহন ইউনিয়নে প্রচারণা চালাতে গিয়েছিলাম। রাস্তায় আসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় স্পিডবোটে করে বরিশাল রওনা হই। কিন্তু হঠাৎ সাদা পোশাকের পুলিশ স্পিডবোটকে থামানোর জন্য বললে আমি চালককে চালাতে বলি। কারণ তাদের তো চিনি না। এক পর্যায়ে বিশ্বাসের হাট নামক একটি জায়গায় আমার বোট থামানোর পর কয়েকজন উঠে এসে আমার এক কর্মীকে জোর করে নিয়ে যায়।’

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে শোনা যায়, সরোয়ারের কাছাকাছি এসে সাদা পোষাকের পুলিশ সদস্যরা তার সঙ্গে থাকা মশিউরকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। তখন সরোয়ার তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমার সামনে থেকে নিয়ে যাবেন আমার কর্মীকে এটা হবে না। তাইলে আমাকে শুদ্ধ নিয়ে যেতে হবে। ও একজন অ্যডভোকেট। ’

এসময় পুলিশ সদস্যরা বারবার সরোয়ারকে বলতে থাকেন, ‘স্যার আপনি ছাড়েন ওকে আমরা নিয়ে যাই। আমরা আপনার সম্মান রাখবো।’

তখন সরোয়ারকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার সাথে তো কেউ নেই ভাই। একটা ছেলে লিফলেট বিতরণ করছে তাকে কেন আটক করবেন আপনারা।’

এসময় সরোয়ার তার কর্মীকে জড়িয়ে ধরলে পুলিশ সদস্যদের তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায়। তখন তার কর্মী বলেন, ‘আমি এমনিতেই নিজে যাবো। আমাকে জোর করে নিতে হবে না। ’

পরে এক পর্যায়ে তাকে চ্যাঙদোলা করে অন্য স্পিডবোটে তুলে নিয়ে হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দিতে দেখা যায়। যাওয়ার সময় পুলিশ সদস্যদের সরোয়ারের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার আপনাকে সম্মান করছি।’

এরপর ভিডিওতে সরোয়ারকে কিছুটা বিমুর্ষ দেখা যায়। তখন পাশ থেকে একজনকে পুলিশের উদ্দেশে উচ্চস্বরে বলতে শোনা যায়, ‘কোন আইনে আছে যে একজন প্রার্থী নিজে প্রচার চালাতে পারবে না? তাকে বাধা দিবেন? গ্রেপ্তার করবেন?’

ঢাকা টাইমসকে সরোয়ার বলেন, ‘বরিশালের সব প্রার্থীদের সঙ্গে রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের বৈঠকে আমি জেলা প্রশাসক এবং পুলিশের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। তারা দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’

ঢাকাটাইমস/২৬ডিসেম্বর/বিইউ/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :