‘নিখোঁজ’ সেই চার শিক্ষার্থী কারাগারে
চারদিন ‘নিখোঁজ’ থাকা সেই চার শিক্ষার্থীকে নাশকতার মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। অভিভাবকরা সাদা পোশাকে বাস থেকে তাদের তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন পুলিশ পরিচয় দেওয়া কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
বুধবার রাজধানীর কাফরুল থানার দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনের ওই মামলায় এসআই মো. জিল্লুর রহমান তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন জানান। মামলাটিতে বাদী ইউসুফ হাওলাদার তাঁতী লীগের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ করেছেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম মো. বাকী বিল্লাহর আদালত আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শিক্ষার্থীরা হলেন- এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু খালেদ মোহাম্মদ জাবেদ, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মো. বোরহান উদ্দিন, মানারাত ইউনিভার্সিটির শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রেজাউল খালেক ও ঢাকা ইউনানি আয়ুুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের সাবেক ছাত্র ডা. সৈয়দ মমিনুল হাসান।
পুলিশের আবেদনে বলা হয়, ‘আসামিরা বিএনপি-জামায়াতের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে তারা বোমা-ককটেল তৈরি ও বিএনপি-জামায়াতের নাশকতায় সহযোগিতা করে আসছিল। গত ১৭ ডিসেম্বর তারা কাফরুল থানার মিরপুর-১৩নং সেকশনস্থ ১/৩ পূর্ব বাইশটেকী, হাজী জব্বারের বাসার সামনে এজাহারভুক্ত আসামিদের সঙ্গে তাঁতী লীগের নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর করে। তারা মামলার বাদী ইউসুফ হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।’
‘গ্রেপ্তারের পর আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। তথ্য সঠিক পাওয়া না গেলে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পরে। তাই তাদের কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।’
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে ফার্মগেট এলাকা থেকে নির্বাচনের আগের দিন সাদা পোশাকের পুলিশ পরিচয়ে তাদের তুলে নেওয়া অভিযোগ করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনের পর সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ওই চার শিক্ষার্থীকে কাফরুল থানায় হস্তান্তর করে।
অভিভাবকদের লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, গত ২৯ ডিসেম্বর (শনিবার) শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট থেকে কেনাকাটা সেরে চার শিক্ষার্থী শাহবাগ মোড়ে এসে বাসার উদ্দেশ্যে বাসে ওঠেন। ফার্মগেটে তাদের বাসটি থামিয়ে সাদা পোশাকধারী কিছু ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে আটক করে নিয়ে যান।
(ঢাকাটাইমস/২জানুয়ারি/এএ/এআর)