দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি
সংসদ নির্বাচনের কারণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও বিভিন্ন বিধি-নিষেধের কারণে কয়েক দিন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহন পারাপার অনেকটা কমে এসেছিল। ব্যস্ততম এ নৌরুটে যান পারাপার কমে যাওয়ায় ঘাট দুটিও ছিল অনেকটা ফাঁকা।
একারণে চার দিন পর বুধবার সকাল থেকে ফের পুরনো ফিরতে শুরু করেছে এ রুট। বিকাল ৪টা নাগাদ দৌলতদিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় সাড়ে তিন কিলোমিটারজুড়ে মহাসড়কে আটকে আছে অন্তত চার শতাধিক যানবাহন।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ২৯ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ফেরিসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল। এছাড়া নির্বাচনের আগে ও পরে কয়েক দিন যানবাহন পারাপার উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।
মঙ্গলবার রাত থেকে স্বাভাবিক সময়ের মতো নদীপাড়ের জন্য দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহন আসতে শুরু করেছে। বুধবার দিনব্যাপী যানবাহন আসতে থাকায় মহাসড়কে দীর্ঘ সিরিয়ালের সৃষ্টি হয়।
দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকায় সিরিয়ালে আটকে থাকা ট্রাকচালক শহিদুল্লাহ মিয়া জানান, তিনি চুয়াডাঙ্গা থেকে বুধবার ভোরে ৩টার দিকে ঘাট এলাকায় এসে দীর্ঘ সিরিয়ালে আটকে পড়েছেন। বিকাল ৪টা বাজতে চললেও এখনো ঘাট থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে আছি। আজ হয়তো আর ফেরিতে উঠতে পারব না।
যশোর থেকে কাঁচামাল বোঝাই করে আসা ট্রাকচালক জলিল খান জানান, তার গাড়ি (কাঁচামাল) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে দীর্ঘ সিরিয়ালে আটকে আছি। কখন ফেরির নাগাল পাব, বুঝতে পারছি না।
যশোর থেকে আসা বলাকা পরিবহনের চালক তমছেল জানান, ঢাকার উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে এসে ঘাটে দীর্ঘ সময় সিরিয়ালে আটকে আছি। যাত্রীদের নানা ধরনের ভোগান্তি হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, নির্বাচনের কারণে বেশ কয়েক দিন যানবাহন পারাপার কম থাকার কারণে বুধবার থেকে প্রায় একযোগে বিভিন্ন যানবাহন আসতে শুরু করেছে। এ কারণে ঘাট এলাকায় কয়েকশ যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় যাত্রীবাহী যানবাহন ও কাঁচামালবোঝাই যানবাহনকে অগ্রাধিকার দিয়ে পার করা হচ্ছে।
তিনি জানান, রুটে বর্তমানে ১৭টি ফেরি চালু রয়েছে। আটকে পড়া যানবাহনগুলোকে রাতের মধ্যেই পার করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
(ঢাকাটাইমস/২জানুয়ারি/এলএ)