মেননের শপথ স্থগিত চেয়ে রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:০৭

সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের ফলাফলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও নৌকা প্রতীকে বিজয়ী রাশেদ খান মেননের শপথ স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আদালত মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, এ ধরনের মামলার শুনানি করার এখতিয়ার তাদের নেই। তাই এ ধরনের রিটের জন্য নির্ধারিত বেঞ্চে আবেদন করতে বলেছেন।

গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রিট করেন। রিটে এই আসনে নির্বাচিত এমপি রাশেদ খান মেননের শপথগ্রহণ ও প্রজ্ঞাপনের উপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়।

রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ তিনি ওই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রিটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের শপথ গ্রহণ ও প্রজ্ঞাপনের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।

রিটে পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়েছে। তারা হলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), আইনসচিব, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, ঢাকা বিভাগের রিটার্নিং অফিসার ও রাশেদ খান মেনন।

ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘লাভজনক পদে থেকে নির্বাচন করেছেন রাশেদ খান মেনন। সংবিধানের ৬৬(২)(এফ) ও আরপিও ১২ অনুচ্ছেদে আছে, লাভজনক পদে থেকে নির্বাচন করা যাবে না। কিন্তু তিনি সংসদ সদস্য পদে থেকে নির্বাচন করেছেন। আরপিও ২০ ধারায় আছে, নিজ দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির, ফলাফলও ওয়ার্কার্স পার্টির। এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির, তাই দল ও তার প্রতীক হওয়া উচিত হাতুড়ি।’

‘কিন্তু তার ব্যালট ছিল নৌকা প্রতীকের, যা আরপিওর ২০ ধারা পরিপন্থী। আচরণ বিধিমালা-২০০৮-এর ৭(৩)(৪) বিধিতে আছে, নিজ দলের সভাপতির ছবি ব্যবহার করতে পারবেন পোস্টার ও ব্যানারে। কিন্তু তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করেছেন। এটাও আরপিও পরিপন্থী।’ তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি বহুবার নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন করেছি। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। নির্বাচন ট্রাইব্যুনালেও আমি সাক্ষ্য দিয়েছি। কিন্তু কোনো রায় দেননি। রায় না দিয়েই নির্বাচন করেছে, যা আইনের পরিপন্থী।’

গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে মহাজোটের প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বিজয়ী হন। তিনি এক লাখ ৩৯ হাজার ৫৩৮ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস পান ৩৮ হাজার ৭১৭ ভোট।

(ঢাকাটাইমস/৩জানুয়ারি/এমবি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :