মেননের শপথ স্থগিত চেয়ে রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ
সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের ফলাফলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও নৌকা প্রতীকে বিজয়ী রাশেদ খান মেননের শপথ স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রিট করেন। রিটে এই আসনে নির্বাচিত এমপি রাশেদ খান মেননের শপথগ্রহণ ও প্রজ্ঞাপনের উপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়।
রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ তিনি ওই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রিটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের শপথ গ্রহণ ও প্রজ্ঞাপনের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।
রিটে পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়েছে। তারা হলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), আইনসচিব, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, ঢাকা বিভাগের রিটার্নিং অফিসার ও রাশেদ খান মেনন।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘লাভজনক পদে থেকে নির্বাচন করেছেন রাশেদ খান মেনন। সংবিধানের ৬৬(২)(এফ) ও আরপিও ১২ অনুচ্ছেদে আছে, লাভজনক পদে থেকে নির্বাচন করা যাবে না। কিন্তু তিনি সংসদ সদস্য পদে থেকে নির্বাচন করেছেন। আরপিও ২০ ধারায় আছে, নিজ দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির, ফলাফলও ওয়ার্কার্স পার্টির। এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির, তাই দল ও তার প্রতীক হওয়া উচিত হাতুড়ি।’
‘কিন্তু তার ব্যালট ছিল নৌকা প্রতীকের, যা আরপিওর ২০ ধারা পরিপন্থী। আচরণ বিধিমালা-২০০৮-এর ৭(৩)(৪) বিধিতে আছে, নিজ দলের সভাপতির ছবি ব্যবহার করতে পারবেন পোস্টার ও ব্যানারে। কিন্তু তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করেছেন। এটাও আরপিও পরিপন্থী।’ তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি বহুবার নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন করেছি। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। নির্বাচন ট্রাইব্যুনালেও আমি সাক্ষ্য দিয়েছি। কিন্তু কোনো রায় দেননি। রায় না দিয়েই নির্বাচন করেছে, যা আইনের পরিপন্থী।’
গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে মহাজোটের প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বিজয়ী হন। তিনি এক লাখ ৩৯ হাজার ৫৩৮ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস পান ৩৮ হাজার ৭১৭ ভোট।
(ঢাকাটাইমস/৩জানুয়ারি/এমবি/এআর)