কুমিল্লাকে জেতালেন তামিম-আফ্রিদি

প্রকাশ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৫ | আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৪৯

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সিলেট সিক্সার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়ে বিপিএল শুরু করলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। রবিবার মিরপুরে কুমিল্লাকে জয় এনে দেন তামিম ইকবাল আর শহীদ আফ্রিদি। টাইগার ওপেনার তামিম করেন ৩৫ রান। আফ্রিদি ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। বল হাতেও উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। ম্যাচসেরার পুরস্কারটা তাই আফ্রিদির হাতেই উঠেছে।

সিলেটের ১২৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ২১ রানেই এভিন লুইস (৫) আর ইমরুল কায়েসকে (০) হারায় কুমিল্লা। এরপর অধিনায়ক স্মিথ ফেরেন ১৬ রান করে। সুবিধা করতে পারেননি শোয়েব মালিকও। পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ১৩ রান। দলীয় ৮৩ রানে আউট হয়ে ফেরেন বিজয় (৫)। পঞ্চম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কুমিল্লা। চাপটা আরও বেড়ে যায় ৯৭ রানে তামিমের রানআউটে। ৩৪ বলে এক চার এক ছক্কায় নিজের ৩৫ রানের ইনিংসটি সাজান তামিম।

কিন্তু উইকেটে ছিলেন আফ্রিদি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে নিয়ে এক বল হাতে রেখেই কুমিল্লাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। মাত্র ২৫ বলে পাঁচ চার আর দুই ছক্কায় ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। বোলিংয়ের শুরুটা পেস দিয়ে করালেও দ্বিতীয় ওভারেই স্পিনার মেহেদী হাসানকে নিয়ে আসেন তিনি। সুফলও পান। মেহেদীকে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন লিটন দাস (১)। তার ক্যাচটি লুফে নেন স্মিথ।

দলীয় ১ রানেই লিটনকে হারানোর পর আগ্রাসী হয়ে ওঠেন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। চতুর্থ ওভারে মেহেদী হাসানকে তিনটি চার মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু শোয়েব মালিকের করা পরের ওভারেই ফেরেন অজি ওপেনার। তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। সিলেট হারায় দ্বিতীয় উইকেট।

কপাল ভালো যে স্ট্যাম্পিং মিস করেছেন এনামুল হক বিজয়। না হয়, আফিফকেও হারাতে হত সিলেটকে। ওয়ার্নার যে ওভারে ফিরেছেন, সে ওভারেরেই শেষ বলে উইকেট ছেড়ে মারতে গিয়েছিলেন আফিফ। বলের নাগাল পাননি। তবে সুযোগটা কাজে লাগতে ব্যর্থ হন বিজয়।

এরপর একবার রানআউটের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন হৃদয়। জীবন পেলে কী হবে? তিনি রান তুলছিলেন মন্থর গতিতে। অপর প্রান্তে থাকা আফিফ চেষ্টা করছিলেন স্ট্রাইক রোটেড করতে। ‍কিন্তু ১৬ বলে ১৯ রান করার পর নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ডেলিভারিটা অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরে ছিল। সেটাকে ফাইন লেগ দিয়ে মারতে গিয়েছিলেন আফিফ। টাইমিং হয়নি। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে কয়েক ড্রপে ভেঙে দেয় উইকেট।

শম্ভুক গতিতে খেলতে থাকা হৃদয়ও টেকেননি। আফ্রিদির এলবির ফাঁদে পড়ে আউট হন তিনি। ফেরার আগে ২৪ বলে করেন মাত্র ৮ রান! দলীয় ৪৬ রানে সিলেট হারায় চতুর্থ উইকেট।

এরপর ব্যাট হাতে নামেন সাব্বির রহমান। মারকুটে এই ব্যাটসম্যানকে ঘিরে আশায় বুক বাঁধে সিলেট। কিন্তু দলের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দেন সাব্বির। ব্যক্তিগত ৭ রানে মেহেদীর বলে উইকেটর পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। সিলেটের রান তখন ৫৬।

খাদের কিনার থেকে সিক্সার্সকে টেনে তুলেন নিকোলাস পুরান। অলক কাপালিকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৫৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। পুরান আউট হওয়ার পর শেষ ১৫ বলে মাত্র ১৬ রান সংগ্রহ করতে পারে সিলেট।

কুমিল্লার পক্ষে ২টি করে উইকেট দখল করেন মেহেদী, সাইফউদ্দিন আর শহীদ।  

(ঢাকাটাইমস/৬ জানুয়ারি/ এবিএ)