রাজীবের মৃত্যুর মামলার প্রতিবেদন পিছিয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি
রাজধানীর মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক (বাণিজ্য) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেনের এক হাত দুই বাসের রেষারেষিতে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর মৃত্যুর মামলায় প্রতিবেদন দেয়নি পুলিশ। তা দাখিলের দিন পিছিয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালত এ নতুন দিন ধার্য করেন।
মামলার আসামি বিআরটিসি বাসের চালক মো. ওয়াহিদ ও স্বজন পরিবহনের বাসের চালক মো. খোরশেদ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
আসামিদের গত বছরের ৫ এপ্রিল দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ৮ এপ্রিল তাদের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তিন দফা জামিনের আবেদন করা হলেও তা নামঞ্জুর হয়।
গত বছরের ৩ এপ্রিল বিআরটিসির দোতলা বাসটির পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন রাজীব হোসেন। হাতটি বের হয়েছিল সামান্য বাইরে। হঠাৎই পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের বাসটি বিআরটিসির বাসটিকে গা ঘেঁষে ওভারটেক করার সময় রাজীবের ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দু-তিনজন পথচারী দ্রুত তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেও বিচ্ছিন্ন হাতটি রাজীবের শরীরে আর জুড়ে দিতে পারেননি। পরে ১৬ এপ্রিল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাজীব। মামলাটি প্রথম দ-বিধির ২৭৯ ও ৩৩৮(ক) ধারায় করা হয়। রাজীব মারা যাওয়ার পর ধারা পরিবর্তন করে দ-বিধির ৩০৪(ক) অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/৭জানুয়ারি/জেডআর/এআর)