সুবর্ণচরে ধর্ষণের ‘দায় স্বীকার’ দুই জনের
ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার দুই জন আদালতে জবানবন্দি দিয়ে তাদের দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। এই মামলায় সাত জনের পর আরো এক জনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে দুই আসামি আবুল ও সালাউদ্দিনকে সোমবার নোয়াখালীর বিচারিক হাকিম দুই নং আমলী আদালতের হাজির করা হয়। বিচারক নবনিতা গুহের কাছে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
চরজব্বর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল ঢাকা টাইমসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে জবানবন্দিতে তারা কী বলেছেন, সে বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা বিস্তারিত বলতে চাননি।
ইব্রাহিম খলিল জানান, গত রবিবার ভুক্তভোগী নারীর ডিএনএ প্রোফাইল পরীক্ষা করে সংরক্ষণ করার যে আবেদন করা হয়েছে তার ওপর আজ শুনানি করবে আদালত। গতকালই এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এই মামলায় গ্রেপ্তার আরো সাত আসামির রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশের ইনস্পেক্টর জাকির হোসেন। তবে তারা কী তথ্য দিয়েছেন, সেটা জানাননি তিনিও।
গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের রাতে একটি বাড়িতে হানা দিয়ে চার সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী নয় জনকে আসামি করে মামলা করার পর এদের সবাইকে এবং এজাহারের বাইরে থাকা আরো তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় হোতা বলে নাম আসা রুহুল আমিনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে এরই মধ্যে বহিষ্কার করেছে ক্ষমতাসীন দল।
সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভুক্তভোগী নারীর পাশে থাকার ঘোষণাও দিয়ে এসেছে।