ইটিভির সাবেক চেয়ারম্যান সালামের অর্থপাচার মামলায় আংশিক চার্জশুনানি
একুশে টেলিভিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলায় অভিযোগ (চার্জ) গঠনে আংশিক শুনানি শুনেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ৬নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. শেখ গোলাম মাহবুবের আদালত এ শুনানি গ্রহণ করেন।
শুনানি শেষে আইনগত বিষয়ে আরও শুনানির প্রয়োজন আছ উল্লেখ করে আরেকদিন শুনানি গ্রহণ করবেন বলে জানান আদালত।
প্রসিকিউটর জাহাঙ্গীর জানান, মামলার ৩নং আসামি একুশে টিভির সিনিয়র ম্যানেজার (ফাইন্যান্স) মো. ফজলুর রহমান শিকদারকে চার্জশিটে তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজসাক্ষী করার কথা বলেছেন। তাই আইনগত প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা যাবে কি না। এ বিষয়েই আরও শুনানি গ্রহণ করতে চেয়েছেন আদালত।শুনানিকালে জামিনে থাকা আসামি আব্দুস সালাম ও তার ভাই একুশে টিভির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (বর্তমানে পরিচালক) আশরাফুল আলম আদালতে হাজির ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ইটিভির ২৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা অবৈধভাবে উত্তোলন করে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কারাগারে থাকাকালে তার ভাই আশরাফুল আলমকে দিয়ে ৩০ হাজার ইউরো মুদ্রা ক্রয় করেন। যার মধ্যে ১০ হাজার ইউরো তার জার্মান প্রবাসী ভাই কাকনের কাছে পাঠান। বাকি ২০ হাজার ইউরো আসামি সালামের জন্য ম্যানেজার ফজলুর রহমান তার শাশুড়ির ধলপুরের বাসায় রাখেন। যা ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর র্যাব অভিযান চালিয়ে জব্দ করে। ওই ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম।
তদন্তের পর গত বছরের ৮ এপ্রিল আদালতে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটে বলা হয়, তদন্তে এজাহারভুক্ত আসামি ফজলুর রহমান শিকদার লিখিতভাবে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন জানান। তিনি দাবি করেন, তিনি তার নিয়োগকর্তার নির্দেশে ইউরো মুদ্রা ক্রয় ও সংরক্ষণ করেন।
(ঢাকাটাইমস/১১জানুয়ারি/জেডআর/এআর)