চাকরি দেবেন বলে কনস্টেবল নিয়েছেন ‘দুই কোটি’

প্রকাশ | ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মামলায় পুলিশের কনস্টেবল কামরুল হাসানকে রিমান্ডে পেয়েছে বাহিনীটি। তাকে পাঁচ দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

পুলিশ জানিয়েছে, চাকরি দেওয়ার পাশাপাশি জাতিসংঘ মিশনে পাঠানোর কথা বলে সহকর্মী কর্মকর্তাদের সঙ্গেও প্রতারণা করতেন কামরুল। এভাবে প্রায় দুই কোটি টাকা মেরে দিয়েছেন তিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই কথা স্বীকারও করেছেন তিনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে।

শুনানি চলাকালে আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। একই দিন তার স্ত্রী লুৎফা আক্তারের রিমান্ড শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। আগামী ১৩ জানুয়ারি নতুন তারিখ ঠিক হয়েছে।

চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গত ২৮ ডিসেম্বর পিবিআই এর এসআই মমিনুল ইসলাম শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন কনস্টেবল কামরুল ও তার স্ত্রী লুৎফাকে। আবেদনে বলা হয়, কামরুল হাসান নিজেকে পুলিশের অতিরিক্ত এসপি হিসেবে পরিচয় দিতেন। বলতেন তিনি সরাসরি এসআই ও সিভিল স্টাফ নিয়োগের ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন।

কামরুলের এমন কথায় বিশ্বাস করে ঢাকা এসবির এএসআই শাহ স্বপন একজন সিভিল স্টাফ ও দুই জন এসআই পদে চাকরি দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেন। কামরুল তার কাছ থেকে কাগজপত্র চান। পরে জাতিসংঘ মিশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলেও টাকা নেন। তার কথায় বিশ্বাস করে কয়েক দফায় ২৭ লাখ টাকা দেন এএসআই শাহ স্বপন।

পরে স্বপন জানতে পারেন আসামি একজন কনস্টেবল। পরে টাকা ফেরত চাইলে তিনি তাকে সাত লাখ টাকার চেক দেন। পরে তদন্তকালে প্রায় ৩০ জন ভুক্তভোগীর সন্ধান পাওয়া যায় যারা কামরুলের প্রতারণার শিকার হয়েছেন।