মুগাবের সুটকেসভর্তি কোটি টাকা চুরি
প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:১৭ | আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:২১
জিম্বাবুয়ের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের সুটকেসভর্তি এক লাখ ৫০ হাজার ডলার(বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি ২৬ লাখ টাকা) চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করে আদালতে হাজির করা হয়েছে। শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত চোরেরা এই টাকা গাড়ি, বাড়ি এবং পশু কেনায় খরচ করেছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, সাবেক প্রেসিডেন্টের এক আত্মীয় কনস্তানসিয়া মুগাবে অভিযুক্তদের মধ্যে একজন। রাজধানী হারারের কাছে জিভিমবা এলাকায় মুগাবের গ্রামের বাড়ি। সেই বাড়ির চাবি ছিল তার কাছে। অন্যদের এই বাড়িতে প্রবেশ করতে সহযোগিতা করেন কনস্তানসিয়া। ওই বাড়ি থেকেই টাকাগুলো চুরি হয়।
অন্য আরেক সন্দেহভাজন একজন পরিচ্ছন্নকর্মী। জানুয়ারির শুরুর দিকে বা ১ ডিসেম্বর এই চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চিনহয়ি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি তেভেরাইশি জিনইয়েম্বা জানান, চুরির ঘটনার পর জোহানে মাপুরিসা একটি টয়োটা ক্যামরি গাড়ি এবং একটি বাড়ি ২০ হাজার ডলারে কেনেন। সেমোরে নেহেটেকওয়া চুরির টাকা দিয়ে একটি হোন্ডা এবং শুকর, গবাদি পশু কেনেন।
সন্দেহভাজন তিন অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। তবে চতুর্থ ব্যক্তি এখনো ধরা পড়েনি।
২০১৭ সালে ৯৪ বছর বয়সী রবার্ট মুগাবেকে সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করে। দীর্ঘ ৩৭ বছর জিম্বাবুয়ের ক্ষমতায় ছিলেন মুগাবে। প্রচলিত একটা কথা আছে, কোনো দেশ দেউলিয়া হতে পারে না। কিন্তু রবার্ট মুগাবের বিলাসবহুল জীবনযাপনের কারণে জিম্বাবুয়ের অর্থনৈতিক পতন ঘটেছিল।
জিম্বাবুয়েতে স্থানীয় মুদ্রার চেয়ে ডলারের মূল্য অনেক বেশি শক্তিশালী। তত্ত্ব অনুসারে স্থানীয় ‘বন্ড নোট’ ব্যাংকের বিনিময় মার্কিন মুদ্রার সমান - কিন্তু বাস্তবে তারা অনেক কমে কিনে নেয়।
ক্ষমতা ছাড়ার পর মুগাবে প্রায়ই অসুস্থ থাকেন এবং তার হাঁটতে সমস্যা হয়। চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েক মাস সিঙ্গাপুরে ছিলেন তিনি। চুরির সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।
(ঢাকাটাইমস/১১জানুয়ারি/এসআই)