স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমে সাড়ে ছয় হাজার টাকা চুক্তি

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:২৩ | আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:৪৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সরিয়ে ফেলতে দুই জনের সাড়ে ছয় হাজার টাকা দেওয়ার কথা দেন একজন। সেই অনুযায়ী কাজও হয়। কিন্তু ধরা পরা ভয়ে ওই দুইজন স্থানীয়দের কাছে লাশ গুমের ঘটনা বলে দেয়। পরে স্বামী শাহজাহান মিয়াসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তার বাকি দুইজন হলেন খোকন মিয়া ও মুকুল মিয়া। এরাই মরদেহ গুম করেছিলেন।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক সারোয়ার-বিন-কাশেম।

গত ৩ জানুয়ারি গাজীপুরের ভাওরাইদে আফরোজা নামে এক গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। র‌্যাব বলছে, স্বামী শাহজাহান মিয়াই এই খুন করেছেন। হত্যার পর স্ত্রীর মরদেহ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। পর দিন মরদেহ গুম করতে দুই জনকে ঠিক করেন তিনি। এর মধ্যে খোকন মিয়াকে চার হাজার এবং মুকুলকে আড়াই হাজার টাকা দেবেন বলে চুক্তি হয়। পরে স্থানীয় একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়। 

ঘটনার পর শাহজাহান আত্মগোপনে চলে যান। দুইদিন পর স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আর অনুসন্ধানে নেমে বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক সারোয়ার-বিন-কাশেম বলেন, ‘শাহজাহানের সাথে আফরোজার আট বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের পাঁচ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০১৬ সালে আফরোজা সৌদি আরবে যান। ছয় মাস আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। স্ত্রী বাইরে থাকা তার স্বামী ভাবতেন তার কাছে অনেক টাকা আছে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কিছু দিন অশান্তি লেগেছিল। প্রায় ঝগড়াঝাটিও হতো।’

‘ঘটনার দিন শিশু কন্যাকে বাইরে পাঠিয়ে শাহাজাহান স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করেন। পরে মরদেহ খাটের নিচে রেখে দেওয়া হয়। সবাই টের পাওয়ার ভয়ে মরদেহ গুমে সাড়ে ছয় হাজার টাকায় চুক্তি করা হয় দুইজনের সঙ্গে।’

‘চুক্তি অনুযায়ী তারা লাশ গুম করলেও ধরা পরার ভয়ে ওই দুইজন ভিন্ন নাটক সাজায়। স্থানীয়দের কাছে তাদের সম্পৃক্ততরা কথা গোপন করে শাহজাহান তার স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে রেখেছে জানায়। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।’

সারোয়ার জানান, ঘটনার জানার পর র‌্যাব তদন্তে নামে। পরে ডেমরা এলাকায় শাহজাহানের বন্ধুর বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে জানা যায় লাশ গুমে খোকন মিয়া ও মুকুল মিয়াকে তিনি সাড়ে ছয় হাজার টাকায় ভাড়া করেছিলেন।