সুবর্ণচর ধর্ষণ: কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার আরও এক
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভোটের রাতে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামিদের একজন হেঞ্জু মাঝি গ্রেপ্তার হয়েছেন। কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এ নিয়ে ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার ভোরে হেঞ্জু মাঝিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের।
আবুল খায়ের জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হেঞ্জুকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
গত ৩০ ডিসেম্বরে ভোটের রাতে সুবর্ণচরে একটি বাড়িতে হানা দিয়ে চার সন্তানের জননী এক নারীকে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। ভুক্তভোগীর স্বামী অভিযোগ করেন, ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় এই ঘটনা ঘটানো হয়। পরে তিনি নয় জনকে আসামি করে মামলা করেন।ঘটনাটি তোলপাড় তোলার পর সরকারের পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আশ্বাস দেওয়া হয়। এরই মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি এবং এজাহারের বাইরে থাকা স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে রিমান্ডে নিয়ে।
এই ঘটনায় নাম আসার পর রুহুল আমিন নামে ওই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারও করে ক্ষমতাসীন দল। আর আদালতে এরই মধ্যে একাধিক আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।