বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে পার্লামেন্ট, সুপ্রিম কোর্টে শপথ মাদুরোর

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৪২ | আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৫৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকাটাইমস

পশ্চিমা মহল ও লাতিন প্রতিবেশীদের তীব্র সমালোচনা উপেক্ষা করেই দ্বিতীয় মেয়াদে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন নিকোলাস মাদুরো। তবে দেশটির পার্লামেন্ট বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় প্রথমবারের মতো সুপ্রিম কোর্টে শপথ নিলেন কোনো প্রেসিডেন্ট।

নিকোলাস মাদুরোর দ্বিতীয় মেয়াদের শপথ গ্রহণকে ‘প্রতারণার ক্ষমতাগ্রহণ’হিসেবে আখ্যা দিয়েছে দেশটির বিরোধী দল। তীব্র সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ। বিরোধিতা উৎরে যেতে পারলে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা শাসন করবেন ৫৬ বছর বয়সী মাদুরো।

এদিকে শপথের আনুষ্ঠানিকতার সময় আদালত প্রাঙ্গনে মাদুরোপন্থি এবং বিরোধীদের ছিল পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয়। রাজধানী কারাকাসে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মাইকেল মোরেনো প্রেসিডেন্টকে শপথ পড়ান।

মাদুরোর সমর্থকরা এসময় সিম্ফোনির তালে তালে নেচে গেয়ে, হলুদ-নীল-লাল রঙের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন। আর বিরোধীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।

মাদুরোর শপথের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার নতুন এ প্রেসিডেন্টকে ‘দখলদার’অ্যাখ্যা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছে প্যারাগুয়ে। ব্রাজিলের নতুন ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনেরোও ক্ষমতা গ্রহণের পর ভেনেজুয়েলার ওপর চাপ বাড়ানোর হুমকি দিয়ে রেখেছেন। মাদুরোর নতুন মেয়াদের প্রতিবাদে পেরু ভেনেজুয়েলা থেকে তাদের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকেও ফিরিয়ে নিয়েছে।

শপথ নেওয়ার পর প্রথম ভাষণেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি একহাত নিয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ঘরানার এ নেতা। মাদুরো বলেন, ‘নতুন এক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার আবির্ভাব ঘটতে যাচ্ছে, যা একটিমাত্র দেশ (যুক্তরাষ্ট্র) ও তার তাঁবেদারদের সাম্রাজ্য বিস্তার ও মতাদর্শিক আগ্রাসনকে প্রত্যাখ্যান করবে।’

কারাকাসের মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে শপথ অনুষ্ঠানে অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তার পাশাপাশি পারদিনোকেও মাদুরোর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর জোট-লিমা এবং অন্যান্য দেশের অভিযোগ, অর্থমন্দা-অভিবাসন সংকটের মতো ভয়াবহ সমস্যা চলাকালে, পুরোপুরি জালিয়াতির মাধ্যমে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন মাদুরো।

ঢাকাটাইমস/১১জানুয়ারি/ডিএম