নেট বোলার থেকে অ্যালিসের বিস্ময় বালক হওয়ার গল্প

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:৫০ | প্রকাশিত : ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:১৯

ঢাকা ডায়নামাইটস বনাম রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ শেষে একটি নামই ভাসছিল গোটা শের-ই-বাংলায়। হয়তো টিভির সামনে থাকা দর্শকরাও তখন নামটির ঘোরে ছিলেন। অবশেষে সবার ঘোর কাটান সেই অ্যালিস আল ইসলাম। নেট বোলার থেকে বিস্ময় বালক হয়ে ওঠার গল্প শোনান।

বিপিএলে শুক্রবার ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলতে নেমে হ্যাটট্রিক করেন বাংলাদেশের ২২ বছর বয়সী অফস্পিনার অ্যালিস আল ইসলাম। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে চার ওভারে ২৬ রান দিয়ে চার উইকেট শিকার করেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে এটি অ্যালিসের অভিষেক ম্যাচ ছিল। টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করা বিশ্বের একমাত্র বোলার এখন অ্যালিস। মিরপুর স্টেডিয়ামে অ্যালিসের এটি ছিল প্রথম ম্যাচ।

অ্যালিসের জীবনের এই স্মরণীয় দিন উপহার দেয়ার পেছনের কারিগর হলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। শুক্রবার মিরপুরে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে অ্যালিস জানান নিজের উঠে আসার গল্প।

প্রথমে সবাই আপনার পরিচয় জানতে চায়।

আমি অ্যালিস আল ইসলাম। আমি ঢাকা ডায়নামাইটসের নেট বোলার ছিলাম। আগে আমি ঢাকা ফার্স্ট ডিভিশনে খেলেছি। নেট বোলিং করার সময় সুজন স্যার (ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন) আমাকে দেখেন। দেখে ওনার বিশ্বাস হয় যে, আমি ভালো করতে পারব। তারপর আমাকে টিমে নেন। এরপর টিম ম্যানেজমেন্ট, ক্রিকেটাররা আমাকে সাপোর্ট করেন। এক পর্যায়ে আমি সেরা একাদশে জায়গা পায়।

দুটো ক্যাচ ছাড়ার পর কী মনে হয়েছিল?

আসলে এটা বিপিএলে আমার প্রথম ম্যাচ। খোলাসা করে বলতে গেলে স্টেডিয়ামেই এটা আমার প্রথম ম্যাচ। আমি আসলে অনেক নার্ভাস ছিলাম। তবে ক্যাচ দুটি ড্রপ করার পর টিমমেটরা অনেক সাপোর্ট করেছেন আমাকে, কোচ সাপোর্ট করেছেন। সবাই অনেক সাহস দিয়েছেন। তাতে আমার মনে হয়েছে যে, ভালো জায়গায় বলটা করতে পারলে ভালো কিছু হতে পারে। আমি শুধু ভালো জায়াগায় বল করতে চেয়েছি।

কীভাবে উঠে এলেন?

আমি ক্রিকেট খেলা শুরু করি কাঁঠালবাগান গ্রিন ক্রিসেন্ট ক্লাব থেকে। তারপর কয়েক বছর সেকেন্ড ডিভিশন খেলার পর ফার্স্ট ডিভিশন খেলি। তারপর এই বিপিএল।

হ্যাটট্রিক করার ওভারে সাকিব কী বলেছিলেন?

সাকিব ভাই শুধু বলছিলেন যে, ভালো হচ্ছে। তুই তোর ভালো জায়গায় বল করতে থাক।

একাদশে থাকবেন কখন জেনেছিলেন?

গতকাল সন্ধ্যায় জানতে পারি খেলব। স্যার আমাকে ডেকে বলেন, শারীরীক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে। আমি প্রস্তুত ছিলাম। এতো বড় স্টেডিয়ামে, এতো বড় টুর্নামেন্টে প্রথম খেলা নার্ভাসেরই বিষয়। আমি প্রথমে নার্ভাসই ছিলাম। তবে তারপরও ভালো হয়েছে।

শেষ ওভারে কী মনে হচ্ছিল?

আসলে প্রথম দুটি বল স্ট্যাম্পের বাইরে করেছি। যেটা শফিউল ভাই ভালো খেলেছে। তারপর ভাবলাম স্ট্যাম্পের মধ্যে করি। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, মনে হচ্ছিল পারব।

প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে নার্ভাস লেগেছে। প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এসেও কী নার্ভাসনেস কাজ করছে?

হ্যাঁ, একটু তো লাগছেই। তবে সবাইকে ধন্যবাদ।

(ঢাকাটাইমস/১১ জানুয়ারি/এইচএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

খেলাধুলা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :