শিশু হত্যা: ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কিশোর নিহতের পর মা আটক

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:৫২

যশোর প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

যশোরের মণিরামপুরে শিশু হত্যায় অভিযুক্ত এক কিশোর কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর তার মাকে আটক করেছে পুলিশ। বাহিনীটি জানায়, ওই কিশোর মৃত্যুর আগে তাদেরকে জানায়, ওই হত্যায় তার বাবা ও মা জড়িত ছিলেন।   

শনিবার বিকালে উপজেলার ফেদাইপুর গ্রাম থেকে আটক করা হয় মরিয়ম বেগমকে। তার ছেলে বিল্লাল হোসেন এর আগে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বাহিনীটি।

পুরো ঘটনাটি ঘটেছে তারিফ হোসেন নামে এক শিশুকে হত্যার কারণে। পুলিশ বলছে, অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে তারিফকে হত্যা করা হয়েছিল। আর বিল্লাল, এবং তার বাবা, মা মিলেমিশে এই খুন করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ফেদাইপুর গ্রামে ভাই মহসিনের বাড়িতে আসেন মরিয়ম বেগম। মহসিনের পক্ষ থেকে বিষয়টি তারিফের পরিবারকে জানানো হয়। তখন তারিফের পরিবার মরিয়ম বেগমকে ধরে পুলিশে দেয়।

মরিয়মের স্বামী গোলাম মোস্তফা ওরফে কাঠু মোস্তফাকেও খুঁজছে পুলিশ। গত বুধবার রাত থেকেই তিনি পলাতক। আত্মগোপনে ছিলেন মরিয়মও।

তারিফ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ফিরোজ আলম এসব তথ্য ঢাকা টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন।
গত রবিবার উপজেলার খানপুরের ফেদাইপুর গ্রামের তৃতীয় শ্রেণিপড়ুয়া তারিফ হোসেন নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে স্বজনরা জানতে পারেন, প্রতিবেশী বিল্লাল তাকে অপহরণ করেছে। এক পর্যায়ে বিল্লাল মুক্তিপণ বাবদ পাঁচ লাখ টাকাও দাবি করে। বিষয়টি পুলিশকে জানালে পাশের কেশবপুর উপজেলা থেকে মঙ্গলবার রাতে বিল্লাল আটক হয়। তবে তারিফকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযানের আগেই তাকে হত্যা করা হয়।
ওই রাতেই পুলিশ বিল্লালকে নিয়ে লাশ উদ্ধারে গেলে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় সে। এই ঘটনার পর বিল্লালের বাবা-মা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/ইএস