নবীনদের পদচারণায় মুখরিত বশেমুবিপ্রবি

জাহিদুল ইসলাম
 | প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:০০

দেশের দ্রুত অগ্রসরমান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুবিপ্রবি)। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত মধুমতি নদীর তীরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ইতিমধ্যে অতিবাহিত করেছে আট বছর। এরই মধ্যে ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীদের পদচারণা শুরু হয়েছে।

এ বছর প্রায় এক লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান ৩২৪৫ জন। সবাই এখন ব্যস্ত নতুন বন্ধুদের সঙ্গে পরিচয় হতে। ভর্তিযুদ্ধে জয়ী যোদ্ধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনটি বরাবরই জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিন। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই সবার মনে শুরু হয়ে যায় ক্যাম্পাস নিয়ে কত স্বপ্ন, কত পরিকল্পনা।

ক্যাম্পাসের প্রথম দিন কীভাবে কাটাবে, কী কী করবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। নবীনদের বরণ করে নেওয়ার জন্য প্রবীণরাও নিতে শুরু করে প্রস্তুতি। প্রস্তুতির পর অরিয়েন্টেশনের দিনেই সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটে। নানা আয়োজন এবং আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত স্নাতক প্রথমবর্ষ প্রথম সেমিস্টারের অরিয়েন্টেশন।

উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছিল পুরো ক্যাম্পাস। নবীন শিক্ষার্থীরা ভোর থেকেই ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করে। অনেক নবীনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন তাদের অভিভাবকও। সেই সঙ্গে ক্যাম্পাসের প্রবীণরাও এসেছিল নানা আয়োজনে নবীনদের বরণ করে নিতে। ছেলেরা এসেছিল পাঞ্জাবি, শার্ট-কোট-টাই পরে। ছাত্রীদের কেউ কেউ এসেছিল শাড়ি পরে। সব বিভাগ মিলে কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয় অরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান।

নবীন শিক্ষার্থীদের গোলাপ ফুল দেওয়ার মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। ওই দিন পূর্ববর্তী ব্যাচগুলোর সনদ ও অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষকরা তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষে সবাই যখন বেরিয়ে আসে তখনই আনন্দের মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণ। সবার হাতে রয়েছে ফুল, সবাই পরিচিত হচ্ছে একে অপরের সঙ্গে। কেউ কেউ ব্যস্ত সেলফি তোলা নিয়ে। অনেকেই বসে গিয়েছিল আড্ডা দিতে। এমনি আনন্দঘন পরিবেশে কেটেছে পুরোটা দিন।

ক্যাম্পাসের প্রথমদিনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের নবীন ছাত্র রাশেদুল ইসলাম তনয় ও পার্থ কু-ু, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের রতন হোসেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমসের ঋতুপর্ণা সাহা ও সাইকোলজি বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ ইয়ামিনের সঙ্গে কথা হয়। তাদের ভাষ্য, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত। এই প্রতিষ্ঠানের অংশ হতে পেরে আমরা সবাই গর্বিত। ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চাই। পাশাপাশি যেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রেখেছি, সেটা অর্জন করতে চাই।’

২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে আসনসংখ্যার দিক থেকে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :