সংসদে না আসা বিএনপির আরেকটি ভুল: তোফায়েল

ভোলা প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:০৯

বিভিন্ন সময় ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিএনপি অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে, এবার দলটির বিজয়ী সাংসদরা সংসদে না গেলে আরেকটি ভুল হবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ। বিএনপি সংসদে এলে অল্পসংখ্যক সদস্য নিয়ে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে মনে করেন বর্ষীয়ান এই পার্লামেন্টারিয়ান।

সোমবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার জংশন ও পরানগঞ্জ বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তোফায়েল।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি একটি অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে জন্ম নিয়েছিল। সামরিক স্বৈরশাসনের মধ্যে দলটির জন্ম। সেই দল টিকতে পারে না। আস্তে আস্তে সেই দল ক্ষয়িষ্ণু পথে এগিয়ে চলছে। আর আওয়ামী লীগ যে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল তা গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে আবার প্রমাণিত হয়েছে।’

বিএনপিকে সংসদে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংখ্যা যতই কম হোক বিএনপির সংসদে আসা উচিত। ৭৩ সালের নির্বাচনের পর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একাই সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদ মাতিয়ে রেখেছেন। তাই বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের আটজন সংসদ সদস্য আছেন, তারাও জোরালো ভূমিকা রাখতে পারেন। ৭৩ এর নির্বাচনের পর বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, একজনও যদি ভালো কথা বলে আমি তা সমর্থন করব। এরপরও যদি বিএনপি সংসদে না আসে তাহলে আরেকটি ভুল করবে।’

মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া প্রসঙ্গে প্রবীণ এই নেতা বলেন, ‘যারা রাজনৈতিক জীবনে কষ্ট করেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের স্বীকৃতির জন্য এ নতুন মন্ত্রিসভা হয়েছে। আমরা যারা পুরনো আছি তারা অনেকবার মন্ত্রী ছিলাম। আর নতুনদের জন্য তো জায়গা করে দিতে হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী নতুনদের জায়গা করে দিয়েছেন, সেটা আমিও সমর্থন করি।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে তোফায়েল বলেন, ‘এবার সুন্দর একটি নির্বাচন হয়েছে, এ নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু বিএনপি টাকার বিনিময়ে ভালো প্রার্থীকে বাদ দিয়ে লন্ডনে বসে প্রার্থী দিয়েছে। যাদেরকে মনোনয়ন দিয়েছে গ্রামগঞ্জের মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। গত ১০ বছরে তারা এলাকায় যায়নি। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। সুতরাং তারা নির্বাচন নিয়ে যত কথাই বলুক বাংলাদেশের মানুষ তা গ্রহণ করবে না। তারা (বিএনপি) এখন জাতীয় সংলাপের কথা বলে। বিএনপি যতই পুনঃনির্বাচনের কথা বলুক তা বাস্তবসম্মত নয়।’

এসময় তোফায়েল আহমেদ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের মাঝে নগদ অর্থ এবং টিন বিতরণ করেন। পরে তাদের আরও আর্থিক সহযোগিতা দেয়ার কথাও বলেন তিনি।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউনুছ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক আরজু প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৪জানুয়ারি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :