প্রথম সফরে ভারত যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে একে আব্দুল মোমেন প্রথম বিদেশ সফরে যাচ্ছেন ভারতে। কবে যাবেন, সেটা অবশ্য এখনও নির্ধারিত হয়নি। যদিও অমীমাংসিত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনায় নয় জন সচিব যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মোমেন। ভোটের পর মন্ত্রী হয়ে এটাই প্রথম তার সিলেট সফর।

গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে জিতেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ভাই। প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হয়েই পেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ।

মোমেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর শেখ প্রথম যে ফোনটি করেছেন, তিনি নরেন্দ মোদি। আমাকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী। আমার প্রথম সফর ভারত হবে। এ জন্য আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। তারা আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তাদের সাথে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক।’

কবে যাবেন এবং কী নিয়ে আলোচনা হবে সেটি সুনিদিষ্ট করে জানাননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আটকে থাকা তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মূলত আমি সৌহার্দের বার্তা নিয়ে যাব। তারপরও আমাদের সাথে তাদের বিভিন্ন দপ্তর নয় জন সচিব যাবেন। বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।’

বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দিতে মিয়ানমারের সঙ্গে চলা আলোচনা আরো জোরদার করার কথাও তুলে ধরে মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। সকল রোহিঙ্গাদের পর্যায়ক্রমে তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দিতে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এর সমাধান না করলে আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।’

সরকারে নিজের ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ গ্রহণ করেছে। এ ভিশনগুলো বাস্তবায়ন করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করবে। আমাদের মূলনীতি হচ্ছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করা।’

হযরত শাহজালাল ও শাহপরাণের মাজার জিয়ারত করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেও ফুল দেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।