প্রতারক ভয়ঙ্কর
প্রধানমন্ত্রী সহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সই নকল করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পেয়ে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাহিনীটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি বলছে, এদের তিন জন একই চক্রের সদস্য।
মঙ্গলবার সিআইডির সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা। তিনি জানান, এই চক্রের প্রধান হেলালউদ্দিন। অন্য দুই জন হলেন: এনামুল হক এবং নাজমুল হাবিব।
এদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদক চেয়ারম্যান, এনবিআর চেয়ারম্যান, এনএসআই প্রধানদের সই জাল করা প্যাডের পাতা, বাংলাদেশ ব্যাংকে ৫৪ কোটি আছে মর্মে ভুয়া যাচাই করা কপিও পাওয়া হয়।
সিআইডি কর্মকর্তা সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর সিআইডির সিরিয়াস অ্যান্ড হোমিসাইডালের স্কোয়াড পল্লবী এলাকা থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হেলালউদ্দিন লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানার আবদুল্লাহপুর গ্রামে বাসিন্দা। এনামুল হকের বাড়ি নাটোর জেলার লালপুরের কেশবপুর গ্রামে। নাজমুল হাবিব টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার বেপারিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াত চক্রটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুয়া যাচাই কপি তৈরি করার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তারা কথা ছড়ায় যে বাংলাদেশ ব্যাংকে কথিত ফরিদুজ্জামান সেলিমের হিসাবে ৫৪ হাজার কোটি টাকা আছে। তিনি ফ্রান্সের এল সি এল ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা পাঠান। যা পুরোটাই ভুয়া।
‘চক্রটি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়নের কথা বলে মানুষকে নানা ধরনের প্রলোভন দিতেন। প্রয়োজন অনুসারে তারা প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরসহ কার্যালয়ের প্যাডে ওই প্রকল্পের কাজের আদেশনামাও দেখাতেন। এভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা।’ সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, হেলালউদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের লোগোসহ চিঠি এক কম্পিউটারের দোকান থেকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে প্রিন্ট করতেন। সেসব প্যাডে প্রধানমস্ত্রীর সই নকল করা হতো।
ব্যাংকে রাখা ‘কথিত’ টাকার মালিক ফরিদুজ্জামান সেলিমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান সিআইডির এই বিশেষ পুলিশ সুপার।