হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় আরও চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৫১

বহুল আলোচিত গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বেকারিতে জঙ্গি হামলার মামলায় আরও চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

সাক্ষীরা হলেন- তরুণ গোমেজ, মো. হোসেন, মো. লেলিন মোল্লা ও সঞ্জয় বড়ুয়া। তারা হলি আর্টিজনের কর্মচারী ছিলেন।

বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আগামী ২৩ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।

ট্রাইব্যুনাল সাক্ষীদের মধ্যে প্রথম তিনজনের শুধু নাম-ঠিকানা লেখার পর রাষ্ট্রপক্ষ তাদের টেন্ডার ঘোষণা করেন। পরে সাক্ষী সঞ্জয় বড়–য়া আদালতে জবানবন্দি দেন এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন।

জবানবন্দিতে সাক্ষী সঞ্জয় বড়–য়া বলেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঘটনার রাতে তিনি ইলেকেট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গোলাগুলি শুরু হলে তিনি একটি রুমে আশ্রয় নেন। সেখানে সারারাত অন্যদের সঙ্গে অবস্থান করেন। পরদিন সকাল ১০টার দিকে রুম থেকে বের হয়ে বাসায় চলে যান। পরে ৫ জুলাই ডিবি পুলিশ তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে তার সামনে মোবাইল ফোন জব্দ করে।

এ নিয়ে মামলাটিতে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো। মামলার আসামি হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী ও হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্য আসামি মো. মামুনুর রশিদ ও মো. শরিফুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

মামলায় বাদী পুলিশ অভিযোগ করেছে, ‘২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা ‘আল্লাহ আকবর ধ্বনি দিয়ে’ এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করতে থাকে। জঙ্গিদের ওই হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জন নিহত হন। আত্মরক্ষার্থে আমরাও পাল্টা গুলি চালাই। এরপর তারা পুলিশের ওপর গ্রেনেড হামলা চালালে ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন। যৌথবাহিনী পরে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে।’

গত বছরের ২৬ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলাটির বিচার শুরু করেন। ৩ ডিসেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

গত বছরের ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। যেখানে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের (সংশোধনী ২০০৩) ৬(২)/৭/৮/৯/১০/১২/১৩ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/জেডআর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :