ইসরায়েল সফরে আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৩২

আবুধাবি থেকে সরাসরি বিমানযোগে ইসরায়েলে গিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহইয়ান। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর মধ্যপ্রাচ্য সফরের পরই এই সফরে গেলেন তিনি। ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে বলে যে খবর বেরিয়েছে এটিকে তার বাস্তব রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এর আগে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক ছিল না। জর্ডান ও মিশরের সঙ্গে ঘনিষ্ট হলেও অন্য আরব দেশগুলো সবসময় ইসরায়েলকে এড়িয়ে চলেছে। তবে কেউ কেউ তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে বা দেশ সফর করলেও তা সংঘটিত হত গোপনে। কিন্তু সেই খোলস ভেঙে দিয়ে আবুধাবি থেকে সরাসরি বিমানযোগে এবং কোনোরূপ গোপনীয়তা না রেখেই তেল আবিবে পা রেখেছেন আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তাহনুন বিন জায়েদ। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে এক সম্মেলনে যোগ দিতে আবুধাবি সফর করেন ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী সিলভান শ্যালম।

আবুধাবি থেকে সরাসরি বিমানযোগে তাদের তেল আবিব যাওয়ার খবর প্রথম দিয়েছেন ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সংবাদপত্র ইয়েদিয়ত আহরোনোতের সাংবাদিক ইতালি ব্লুমেন্টাল। তিনি জানিয়েছেন, জর্দাদের রাজধানী আম্মানে স্পর্শ না করে আবুধাবি থেকে ব্যক্তিগত একটি বিমান সরাসরি তেল আবিবে এসেছে। এছাড়া এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করেছে মিডলইস্ট আই ও আল খালিজ অনলাইন।

ইসরায়েলের বিশ্লেষক এদি কোহেন এ খবর পরে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বিমানটি আবদুল্লাহ এবং তাহনুন বিন জায়েদকে বহন করেছে। এই দুই আরব কর্মকর্তা তেল আবিবের রিজ কার্লটন লাক্সারি হোটেলে অবস্থান করছেন এবং স্থানীয় আরেনা বিপণী কেন্দ্র তাদের কেনাকাটা করতেও দেখা গেছে।এছাড়া সিরিয়ার সরকার বিরোধী নেতা বাসসাম জারাও টুইটার বার্তায় এ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সম্প্রতি ইসরায়েলসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে একত্রিত করার লক্ষ্যে তিনি ওই সফর করেন। সফরের কয়েকদিনের মধ্যেই আবুধাবি থেকে তেল আবিবে উড়ে আসলো আমিরাতের বিমান।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও'র কয়েকটি আরব দেশ সফরের পরই এ ঘটনা ঘটল। ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলসহ কয়েকটি আরব দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে এ সফর করেছিলেন তিনি।

সম্প্রতি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে যে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ ও মার্কিন ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরব। দেশটির ক্রাউন প্রিন্স ও কার্যত সরকারের মুখ্য ব্যক্তি মোহাম্মদ বিন সালমান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও এসব প্রতিবেদনে জানানো হয়। যদিও এর সত্যতা বা এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি সৌদি।

ফিলিস্তিনি ভূমি অধিগ্রহণ ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এমতাবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি মুসলিম দেশের ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের আগ্রহ বিতর্ক সৃষ্টি করেছে এবং সেসব দেশের সমালোচনায় মেতেছে মুসলিম বিশ্ব।

ঢাকা টাইমস/১৯জানুয়ারি/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :