ফুটপাতে রাজনৈতিক কার্যালয়
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের সড়কেও দলীয় স্থাপনা
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের নভো টাওয়ার এলাকা। এখানকার বটতলা মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে সড়কের দুই পাশে দুই দলের আলাদা রাজনৈতিক কার্যালয়। একটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের, অন্যটি জাতীয় পার্টির। এসব কার্যালয়ের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বললেন, ‘এ রকম বহু অফিস আছে তেজগাঁওয়ে। আপনে কয়ডা গুনবেন। গুইনা শেষ করতে পারবেন না।’
শিল্পাঞ্চল ঘুরে তার কথার সত্যতা মিলেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অন্তত ৩০টি স্থায়ী-অস্থায়ী কার্যালয় দেখা গেছে। এর কোনোটির অবস্থান ফুটপাতে। কোনোটি আবার সড়কের ওপরেই।
শিল্পাঞ্চলের বিটাক মোড়ের মাঝে রাস্তা দখল করে পাকা দেয়াল ঘিরে করা হয়েছে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ছাত্রলীগের কার্যালয়। পাশের এক দোকানির কাছে এর প্রতিষ্ঠাকাল জানতে চাইলে তিনি আস্তে করে জানালেন, এসব বিষয়ে এখানে কথা বলা যাবে না।
শিল্পাঞ্চলের উত্তর বেগুনবাড়ি সিদ্দিক মাস্টার মোড়ে রাস্তার ওপর ফুটপাত দখল করে তৈরি হয়েছে ১০ নম্বর ইউনিট আওয়ামী লীগ কার্যালয়। নির্বাচনী প্রচারণার জন্য তৈরি করা এই অস্থায়ী ক্যাম্প এখনো ঝকঝকে। এটা আর সরবে কিনা, এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন আশপাশের কেউ কেউ।
এখানে অনেক দিন ধরেই সড়কের মাঝে জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে শিল্পাঞ্চলের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের দপ্তর। ঘুরতে ঘুরতে ফুটপাতেই পাওয়া গেল বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও পাঠাগার। এর ‘অস্থায়ী কার্যালয়’ লেখার রং চটে পাওয়া দেখে বুঝা যায়, এর স্থাপনার সময় কম হয়নি।
শিল্পাঞ্চল এলাকায় মহাজোটের আরেক শরিক জাতীয় পার্টি ও তার অঙ্গ-সংগঠনের অন্তত ১০টি কার্যালয় আছে জাতীয় পার্টির। নভো টাওয়ার মোড়ের কার্যালয় ছাড়াও শিল্পাঞ্চলের নূরানী মোড়ের ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে জাতীয় পার্টির ৮ নম্বর ইউনিটের কার্যালয়।
ফুটপাত ও সড়ক দখল করে থাকা রাজনৈতিক কার্যালয় বিষয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ডিএনসিসির ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফি উল্লাহ শফি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এলাকার যেখানে যেখানে এখনো নির্বাচনী ক্যাম্প আছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।
যেখানে স্থায়ী কার্যালয় আছে সেগুলোও আমরা সরাব। এই এলাকায় রাস্তার ওপরে কোনো ধরনের অবৈধ স্থাপনা রাখা যাবে না।’